কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

আগামী ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের ছুটি

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।

আজ সোমবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি, এর সঙ্গে ২৭-২৮ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। এর সঙ্গে ২৯ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ৩-৪ এপ্রিল আবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার সব খোলা থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনা ভাইরাস বিস্তৃত হওয়ার কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনোভাবেই যেন মানুষ জরুরি বিষয় ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসে। আমরা দেখেছি বিনোদনমূলক এলাকায় ভিড় করেছে। এসময় যদি প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয় অনলাইনে করতে হবে। যারা প্রয়োজন মনে করবে তারা খোলা রাখবে।

‘গণপরিবহন পরিহার করার অনুরোধ করা হচ্ছে। ২৪ মার্চ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের জন্য ও সতর্কতামূলক বিষয় হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য নিয়োজিত থাকবে। করোনার কারণে জেলা প্রসাশকদের আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস বলেন, লকডাউন বলে কিছু নেই। দরকার সোশ্যাল ডিসট্যান্স। সরকার সব সময় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেছেন। নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। বাংলাদেশ কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের ডাক্তারদের ভালো করে তোলার সামর্থ্য আছে। আতঙ্কের কিছু নেই।

এখন এমন একটি সময় এসেছে যখন সমস্ত জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের পুলিশ-আনসার একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা সাংবাদিকরাও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের বিষয়টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিন্তু রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, ২৬ মার্চের সব অনুষ্ঠানও কিন্তু বাতিল করেছেন। জনগণের দিকে তাকিয়ে এটা করেছেন তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, তথ্যসচিব, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: