কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস

বিশ্বব্যাপী আজ রবিবার বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস পালিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি ২২ মে দিবসটি উদযাপন করে আসছে।

১৯৯৩ সালের শেষ দিকে দিবসটি পালনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে এই দিবস পালন বন্ধ করে দিলে ২০০২ সালের ২২ মে পালনের জন্য দিবসটি পুনঃনির্ধারণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। মূলত ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশনে দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘Building a shared future for all life’ অর্থাৎ সব প্রাণীর জন্য একটি সমন্বিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে আমাদের।

দেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের জুনে মন্ত্রীসভায় জীববৈচিত্র্য আইনের-২০১৩ খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন পায়। এতে বলা হয়, জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর কোন কর্মকাণ্ড আইন বিরোধী বলে গণ্য করা হবে এবং এ জন্য দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং দশ লাখ টাকা অথবা তার বেশি জরিমানা হবে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধানটি ঠিক রেখে ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য বিল ২০১৭’ শীর্ষক আইনটি সংসদে পাস হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ আইনের মাধ্যমে জীব সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। পাশাপাশি আইনে রামসার কনভেনশন অনুযায়ী জলাভূমি ঘোষিত এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বৈশিষ্ট্যসমুহের উপর বিরূপ প্রভাব ফেললে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি দেশ। জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদের অংশীদার হিসেবে এই বিলটি আনা হয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ২২ মে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে বায়োডাইভার্সিটি (সিবিডি) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এরপর ৫ জুন ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচীর ধরিত্রী সম্মেলনে সিবিডি বিভিন্ন দেশের স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৬৮টি দেশ সিবিডি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং সিবিডি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ১৯৫ টি।

পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

পাঠকের মতামত: