কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

গোমর ফাঁস

ইয়াবা নয়, মৃত্যুর দিন যে কাজ করছিলেন সিনহা

পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনার দিন হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্ট থেকে তার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নূরকে ধরে নিয়ে যায় রামু থানার পুলিশ।

এসময় তাদের সঙ্গে থাকা কম্পিউটার, হার্ডডিস্কসহ মালামাল জব্দ ও পাঁচ বোতল মদ উদ্ধার দেখানো হয়।

এরপর রামু থানায় মাদক মামলায় শিপ্রাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর দুইদিন থানায় আটকে রাখা হয় তাহসিনকে। এবার তিনিই জানিয়েছেন আসল ঘটনা, কি হয়েছিল সেদিন?

তাহসিন রিফাত নূর বলেন, ঘটনার দিন আমার রুমে তল্লাশি চলছিল। তখন আমি পুলিশের সঙ্গে রুমেই ছিলাম। এরপর আমরা সিফাতের সঙ্গে মিট করার ইন্টেনশন নিয়ে বের হই। ভাবিনি আমাদের অন্য থানায় নিয়ে রাখা হবে।

ভোরের দিকে রামু থানায় আমাকে ও শিপ্রাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষার পর আমরা কক্সবাজারের এসপির কার্যালয়ে আসি। সেখান থেকে রাতের দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং শিপ্রাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

আসলে চারজনের টিম নিয়ে গত এক মাস ধরে সিনহা কি করছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তাহসিন বলেন, ইয়াবা নিয়ে কাজ করছিলেন মেজর সিনহা- এ তথ্য পুরোই মিথ্যা। ঘটনার দিন পাহাড়ের ছবি তোলার কাজ করছিলেন সিনহা ও সিফাত।

তিনি বলেন, আমরা একটা ইউটিউব প্রজেক্টে কাজ করছিলাম। অনেকটা ট্রাভেল ভিডিওর মতো। আমরা বেশ কিছু ভিডিও ইতোমধ্যে বানিয়ে ফেলেছিলাম। আরো ভিডিও বানানোর পর একটা একটা করে আপলোড দেয়া শুরু করবো।

ওইদিন সিফাত ও সিনহা ভাই পাহাড়ের উপর থেকে টাইমলেস নিতে ক্যামেরা নিয়ে বের হয়েছিলেন।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যুর পর তার কাছ থেকে ইয়াবা-গাঁজা উদ্ধার দেখায় পুলিশ। আসলে এই ঘটনার সত্যতা কি?

তাহসিন জানান, এক মাসে কখনো তাকে এসব মাদক নিতে দেখেননি তাহসিন। মাদক নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের কোনো আগ্রহ ছিল না।

তাহসিন আরো জানান, ঘটনার দিন তাদের রিসোর্ট থেকে দুটি কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক ও ক্যামেরার সরঞ্জাম নিয়ে যায় পুলিশ। অথচ পুলিশের জব্দ তালিকায় সেগুলোর কিছুই উল্লেখ নেই।

পাঠকের মতামত: