কক্সবাজার, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

২ সপ্তাহে র‍্যাব বিজিবির অভিযানে ৭ লক্ষাধিক ইয়াবা উদ্ধার আটক ৫

উখিয়ার ডেইলপাড়া ও করইবনিয়া ইয়াবার ঘাটি

মুহাম্মদ হানিফ আজাদ, উখিয়া::

ইয়াবা বাণিজ্য করে অনেকেই কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। হয়েছেন মেম্বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পদবীধারী।

উখিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের ইয়াবা বানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে এমনই ইকবাল সিন্ডিকেট। ইয়াবা বানিজ্য করেই তারা হয়েছেন বিভিন্ন পদবিধারী। কিনেছেন জায়গা-জমি, করেছেন বাড়ি গাড়ি়।

জানা যায়, মিয়ানমার থেকে উখিয়া উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে় বেশি ইয়াবা আসে রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া করইবনিয়া সীমান্ত দিয়ে। মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে কারবারিরা মজুত করে গ্রামগুলোতে। পরে সুযোগ বুঝে পাচার করে দেশের স্থানে।

সীমান্তের উক্ত গ্রাম দুটির ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীমান্তের কাছাকাছি উক্ত গ্রাম দুটিতে ইয়াবা বানিজ্য সবসময়ই সবর থাকে। বর্তমানে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের ইয়াবা বানিজ্য ইকবাল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে। এর মধ্যে রয়েছে করই বনিয়ার মো: ইসলামের পুত্র বেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, সোলতান আহাম্মদের পুত্র ছৈয়দ আলম, ছমি উদ্দিনের পত্র মনসুর আলী, ছমদ আলীর পুত্র মো: হোছন ও ফরিদ আলমের পুত্র জসিম উদ্দিন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে উক্ত ইকবাল সিন্ডিকেট এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারি। তাদের সাথে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের নিয়মিত যোগাযোগ। মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পথে ডেইলপাড়া করইবনিয়া গ্রামগুলোতে ইয়াবা মজুত হয়। এসব ইয়াবার অধিকাংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে যায় রাতের আঁধারে। এমনটাই জানালেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী।

ইয়াবা বানিজ্য করে অল্প সময়ে় উক্ত সিন্ডিকেটের কেউ হয়েছেন মেম্বার, কেউ হয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতা, আবার কেউ হয়েছেন কোটিপতি। এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি কিনে অট্টালিকা বাডি় করে বিশিষ্টজনদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন কেউ কেউ।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের শত্র, দেশের শত্রু। তারা সমাজের যে পর্যায়েই থাকুক না কেন পুলিশের কাছে তারা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেই গণ্য হবে। মাদক ব্যবসা করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।

উখিয়া থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের বির“দ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এ অভিযান চলমান থাকবে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ও কক্সবাজার র‍্যাব -১৫ গেল দুই সপ্তাহ আগে উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষাধিক ইয়াবা ও ৫ জন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত: