কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে ছৈয়দ নুর সিন্ডিকেট

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া::

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী লতিফন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় লাগােয়া পাহাড় কেটে পুকুর ভরাট করছে উখিয়ার ছৈয়দ নুরের একটি সিন্ডিকেট। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দিনের পর দিন এভাবে পাহাড় কাটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না উক্ত এলাকার সচেতন মহল। পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের যেমন বিপর্যয় ঘটছে ঠিক তেমনি প্রাণীকূলেও আঘাত হানাতে পারে।

সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে জানা যায়, পশ্চিম বালুখালী এমএসএফ হাসপাতালের সামনে পুকুরটি এনজিওর নামে ভরাট করা হচ্ছে। দেশে প্রচলিত আইনে পাহাড় কাটা নিষেধ হওয়া সত্তেও রোহিঙ্গাদের মানবতার দোহাই তুলে ইতােপূর্বে অন্তত অর্ধশত পাহাড় কেটে সমতল করা হয়েছে উখিয়া – টেকনাফে। এনজিও গুলো প্রচলিত আইনকে তােয়াক্কা না করে তাদের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে কতিপয় অসৎ ক্যাম্প ইনচার্জকে ম্যানেজ করে। থেমে নেই পাহাড় কাটা এখনো দেদারসে পাহাড়টিলা সমতল করে চলেছে এ সিন্ডিকেট। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রােহিঙ্গা শ্রমিকদের। বালুখালী লতিফুন্নেছা স্কুলের পাহাড়টি বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযােগে রাতের বেলায় নির্দ্বিধায় ডাম্পারভর্তি মাটি নিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্রাণ ক্রয়কারী সিন্ডিকেট সদস্য ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে পাঁচটি ডাম্পারভর্তি করে প্রতিরাতে সমানতালে পাহাড় কেটে মাটি সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে। রাত ১১টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলে এ অবৈধ পাহাড় কর্তন কাজ।

এদিকে জালিয়াপালং পাইন্যাশিয়ায় মাটি ভর্তি একটি ডাম্পার জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।গত বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে ডাম্পারটি জব্দ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান , দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া বনবিভাগের পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করে আসছিল একটি সিন্ডিকেট। প্রতিদিন ২০ শ্রমিক ও ৫- ৬টি ডাম্পার মাটি নেয়া কাজে নিয়ােজিত ছিল ।
স্থানীয়রা আরো জানান, ছৈয়দ নুরের এ কাজের সাথে যুক্ত আছেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাও,যাদের সহযোগিতায় ছৈয়দ নুর এখনো পর্যন্ত পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছেন।

উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ বলেন, ছৈয়দ নুর নামে কতিপয় যুবক এ সভ্যতাকে নষ্ট করতে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে। অতি শীঘ্রই যদি এ পাহাড় কাটা বন্ধ করা না যায় তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে এ সমাজ ও জীববৈচিত্র্য।

এব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এবিষয়ে আমরা অবগত আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের সোর্সও দিয়েছি। কতিপয় পাহাড় কাটা সিন্ডিকেট যদি আবার ওই স্থানে যায় আমরা সাথে সাথে তাদের আটক করবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

পাঠকের মতামত: