কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া ক্যাম্পের দুই রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করলো সুনামগঞ্জের দুই যুবক

কক্সবাজার জেলার উখিয়া ক্যাম্পের দুই রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের দুই যুবক। দুই রোহিঙ্গা নারী ও তাদের সুনামগঞ্জের স্বামীসহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার রাতে তাহিরপুর উপজেলার বাগলী বাজার থেকে সুফাইদ মিয়া (২১) নামের রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক আজ মঙ্গলবার সকালে আরও দুই রোহিঙ্গা নারী এবং তাদের স্বামীদের আটক করে পুলিশ।

আটক দুই বাংলাদেশি যুবক হলেন সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুরের ফারুক মিয়া (২৬) ও তার ভাই মোবারক হোসেন (২১)। আর অপর দুই রোহিঙ্গা নারী হলেন মৃত ইব্রাহিম আলীর মেয়ে সুপাইয়া বেগম (২০) ও রুবিনা আক্তার (১৮)।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আটক সুফাইদ মিয়া প্রকৃত রোহিঙ্গা। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে। তবে দুই নারী জন্মগতভাবে রোহিঙ্গা হলেও তারা বাংলাদেশে বড় হয়েছে। তাদের মা-বাবা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়া (২৬) ২০১৭ সালে উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মৃত ইব্রাহিম আলীর মেয়ে সুপাইয়া বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সুপাইয়ার খালাতো বোন রুবিনারও যাতায়াত ছিল ফারুকদের বাড়িতে। পরে রুবিনা আক্তারকে (১৮) বিয়ে করে ফারুকের ভাই মোবারক হোসেন (২১)। ফারুক মিয়া ও রোহিঙ্গা সুপাইয়া বেগম দম্পত্তির ছয় মাসের শিশু সন্তান ফরহাদ হোসেন এবং মোবারক হোসেন ও রোহিঙ্গা রুবিনা আক্তারের রয়েছে চার মাসের শিশু সন্তান রিফাত হোসেন।

জানা যায়, গতকাল সোমবার গভীর রাতে পুলিশ রোহিঙ্গা যুবক সুপাইদ মিয়াকে সন্দেহজনক অবস্থায় আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, তাহিরপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামে তার দুই ফুফু রয়েছে এবং তাদের বাড়িতেই তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরে তার দুই ফুফু ও তাদের স্বামীকে আটক করে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, ‘তিন রোঙ্গিহাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। দুই দম্পতির সঙ্গে দুই শিশু রয়েছে। আটককৃত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: