কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া হাট বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা ডটকম::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট উখিয়া হাট বাজার, মরিচ্য হাট বাজাট ও রুমখাঁ হাট বাজার। হাটে দেশি-বিদেশি গরু, ছাগল, মহিষ সবই আছে। ক্রেতা-বিক্রেতা প্রচুর। কেনাবেচাও জমজমাট। এদিকে ইজারাদার এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আছে কড়া নজরদারি। করোনাকালের জন্য আছে বিনামূল্যে মাস্ক এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। মাইকিং করে বারবার সে-কথা জানানোও হচ্ছে। তারপরও নেই শুধু হাটের মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা।
এছাড়াও অস্থায়ী পশুর হাট বাসানো হয়েছে সোনারপাড়া, ভালুকিয়া, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালি, পালংখালী সহ বিভিন্ন এলাকায়।
হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছেন গৃহস্থ মো. ইব্রাহিম শেখ। মন খারাপ। ছয় ও সাত মণ ওজনের দুটি ষাঁড় নিয়ে এসেছেন। ক্রেতারা গরু দেখলেও উপযুক্ত দাম বলছেন না। পাশেই টেকনাফ থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুর রহিম ব্যাপারি। ১৫টি গরু বিক্রি করে ফেলেছেন। নিজেই জানালেন সামান্য লাভ হয়েছে। যদি আজকের মধ্যে সবগুলো বিক্রি করতে পারেন আয় ভালোই হবে- আশাবাদী তিনি। ইকবাল ব্যাপারিরও একই কথা। তিনি ৬টি গরু নিয়ে এসেছিলেন। চারটিই বিক্রি হয়ে গেছে। তার মতে হাটে এবার ছোট গরুর চাহিদা অনেক বেশি!
উল্লেখিত মরিচ্যা বাজারে তিনজনই লাভ-ক্ষতি নিয়ে চিন্তিত। মাস্ক তাদের কারো ভাবনাতে আপাতত নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই এদের একজন উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন- ‘গরুর হাটে আবার স্বাস্থ্যবিধি কিসের? মাস্ক পরে গরু কেনাবেচা হয় না।’
তিন গরু নিয়ে মাস্ক ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছেন হালিম। মাস্ক পরেননি কেন? জানতে চাইলে মুচকি হেসে বললেন, ‘মাস্ক আছে পকেটে।’
বেতাগা হাটের ইজারাদার বলেন, ‘হাটে প্রায় ১০ হাজার গরু উঠেছে। বিক্রিও ভালো। আমরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবং মাস্ক পরার জন্য বারবার বলছি, মাইকিং করছি কিন্তু অনেকেই মানছেন না। আসলে অনেক লোকের সমাগম হলে সবকিছু ম্যানেজ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার!’
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। হাটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। দুই ধরণের স্বেচ্ছাসেবকরা এ জন্য কাজ করছে। তারপরও কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ নিজ থেকে সচেতন না হলে, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা খুব কঠিন।’
কোরবানি ত্যাগের বিষয়। আমরা পশু জবাইয়ের মাধ্যমে যেমন ত্যাগের মহিমা প্রকাশ করছি। তেমনি স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার ক্ষেত্রেও আমাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। গরুর হাটে অহেতুক ঘোরাঘুরি, বাইরে চা-নাস্তা খাওয়া এসব ত্যাগ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: