কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উত্ত্যক্তের জেরে প্রাণটাই দিলেন কলেজছাত্রী আঁখি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে উত্ত্যক্ত করার কারণে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এ মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত জেলা ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক রিমন পলাতক। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার মেথরপাড়া মহল্লার হাবিবুর রহমানের ছেলে ফয়সালকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে, শহরের শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী আফসানা আকতার মিম ওরফে আঁখিকে (১৯) দীর্ঘদিন থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার মেথরপাড়া মহল্লার হাবিবুর রহমানের ছেলে ফয়সাল এবং রামকৃষ্টপুর মহল্লার আব্দুল খালেকের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক রিমন। এদের কারণেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার স্বরূপ নগর শাহীবাগ এলাকার মো. আইয়ুব আলির ছোট মেয়ে আঁখি আত্মহত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে রিমন ও ফয়সাল আঁখিকে উত্ত্যক্ত করে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। পরে তার মোবাইল ফোনে গালিগালাজও করে রিমন। এতে ক্ষোভে দুঃখে আঁখি দুপুর দেড়টার দিকে নিজ ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় আঁখির বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে রিমন ও ফয়সালসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় রোববার রাতেই একটি মামলা দায়ের করেন।

নিহত আফসানার স্বজনরা জানান, ১ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টার সময় মার্কেট যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর দুপুর ১টার সময় বাড়ি ফিরে মায়ের সামনে কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় আঁখি তার মাকে বলে, ‘আমাকে মোবাইলে আজেবাজে কথা বলে গালিগালাজ করেছে তারা। আমি আর সইতে পারছি না’। এরপর ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে তার মা, ভাবি ও চাচা ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাঠকের মতামত: