কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

এবারের ঈদুল আজহার ছুটি মাত্র একদিন!

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দুর্যোগে এবার ঈদুল আজহার ছুটি কতদিন থাকবে, এই নিয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনার যেন শেষ নেই। কেউ ভাবছে তিনদিন আবার কেউ চারদিন, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে, করোনা মহামারির শুরু থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন ছুটিতে ছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে সামনে আসছে আরেকটি ঈদ। সেই ঈদে কতদিন ছুটি থাকবে, সেই প্রশ্ন এখন সবার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঈদের সময় আর বাড়তি ছুটির চিন্তা-ভাবনা সরকারের নেই। সরকার চায় ছুটি আরও কমাতে। কারণ ঈদের সময় বাড়ি যেতে নিরুৎসাহিত করছে সরকার। মানুষের চলাচল যত কমানো যায় করোনা তত নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও মনে করছে সরকার।

এদিকে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

এরই মধ্যে আগামী ১ আগস্ট (শনিবার) ঈদুল আজহা ধরে সরকারের ২০২০ সালের ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ৩১ জুলাই, ১ ও ২ আগস্ট (শুক্র, শনি ও রোববার) ঈদুল আজহার ছুটি থাকবে। এক্ষেত্রে দু’দিনই চলে যাচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। বাকি থাকে মাত্র একদিন। আর সেই ১ দিনই এবার ঈদের ছুটি।

আর ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ঈদ হলে ছুটি থাকবে ৩০ ও ৩১ জুলাই এবং ১ আগস্ট (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি)। এক্ষেত্রেও ছুটির দুদিন চলে যাচ্ছে সপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। সেক্ষেত্রেও বাকি থাকে মাত্র একদিন।

এবারের ঈদের ছুটির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পুরো বছরের ছুটি যখন ঘোষণা করা হয়, ঈদের ছুটিও তখন ঘোষণা করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ঈদুল আজহার ছুটি যেভাবে ঘোষণা করা আছে, সেভাবেই থাকবে।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

এরপর পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল।

এরপর ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে দেশের সব কার্যক্রম।

পাঠকের মতামত: