কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

এবার হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে খুলে দেয়া হয়েছে গার্মেন্ট ও শিল্প কারখানা। অধিকাংশ কারখানায় নিজেদের কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। সেসব শ্রমিকদের খাবার যোগান ও কর্মচারীদের জীবন বাঁচাতে এবার দাবি উঠেছে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি এই দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খোলার অনুমতির পর এবার দেশের সব হোটেল, রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ সময় খাদ্য পণ্যের অনলাইন ডেলিভারি কোম্পানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কমিশনে সুনির্দিষ্ট নিতিমালা প্রণয়ন করা ও নিয়ন্ত্রণেরও দাবি জানানো হয়।

ইমরান হাসান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হোটেল রেস্তোরাঁ, স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা রাখতে চাই। যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ ভাগ আসনে বসিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ চালু করতে চাই।

সরকারি সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র তৈরি পোশাক খাত দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেনি। হোটেল, রেস্তোরাঁ খাত তাদের পর্যায়ে অবদান রাখলেও এই খাতে কোনো সহযোগিতা বা প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে জামানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।

লকডাউনে খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। যারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেশে শতকরা ৮০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে টেলিফোন আসছে। আমাদের বাঁচান। আমরা এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারলাম না। এমন কথা সর্বদা উচ্চারিত হচ্ছে, যা আমাদের কষ্ট দেয়। রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকা সংশ্লিষ্ট মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হৃদয়বিদারক কষ্ট করছেন, যা ভাষায় বুঝানো সম্ভব নয়।

লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এ সময় অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: