কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গাদের অবৈধ পাসপোর্ট ঠেকাবে ‘ইলেকট্রনিক কৌশল

কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলায় ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু

সাইদুল ইসলাম::

কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গা এবং অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই নানা কৌশলে ভূয়া নাম ঠিকানায় পাসপোর্ট বানিয়ে আসছেন দালালচক্ররা। এসব ভূয়া পাসপোর্ট ঠেকাতে বিকল্প হিসেবে কাজ দিবে ইলেকট্রনিক পাসর্পোট বা ই-পাসপোর্ট। কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য অঞ্চলের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান জেলায় ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই।

ই-পাসপোর্টের কারণে ভূয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেই রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার যেসব পাসপোর্ট অবৈধভাবে তৈরি হতো সেটি এক প্রকার বন্ধই হয়ে যাচ্ছে।

এর আগে চট্টগ্রামের মুনছুরাবাবদ ও পাচঁলাইশ অফিসেও ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্সুয়ালী ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ই-পাসপোর্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক শাহ মো. ওয়ালি উল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কক্সবাজারসহ পার্বত্য অঞ্চলের তিনটা জেলায় ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই। কক্সাজার ছাড়াও রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় একই সাথে উদ্বোধন করা হয়। ই-পাসপোর্টের কারণে ভ‚য়া নাম-ঠিকানার ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। বিভিন্নভাবে এনআইডি ও জন্মনিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট করলে, তার সকল প্রমাণাদি স্বংক্রিয়ভাবেই ধরা পড়বে। ফলে অনিয়ম ও জালিয়াতির কোন ধরণের সুযোগ নেই বললেই চলে। তবে দিন দিন ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের চাহিদাও বাড়ছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, চট্টগ্রামে ই-পাসর্পোটের যে চাহিদা বাড়ছে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য জেলায়ও শুরু হবে। এতে ই-পাসপোর্টের নানাবিধ নিয়মকানুন মেনেই আবেদন করতে হবে। এসব নিয়মের কারণেই অবৈধ বা জালিয়াতির মাধ্যমে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবে না। তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে ভোগান্তিও অনেকাংশে কমে আসবে। একই কথা বললেন চান্দঁগাও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসানও।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলার কক্সবাজারসহ পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় একই সাথে উদ্বোধন করা হয়। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৃথক জেলায় দায়িত্বশীল হিসেবে ই-পাসপোর্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক শাহ মো. ওয়ালি উল্লাহ, উপ-পরিচালক আবু নোমান মো জাকির হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাঈদ, চান্দঁগাও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান ও কক্সবাজার অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. তাজ বিল্লাহ, রাঙ্গামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহিদ হোসেন, খাগড়াচড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি পরিচালক উত্তম কুমার দেবনাথসহ পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: