কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে দেশে সমুদ্র বুকে প্রথম রানওয়ে

তারেকুর রহমান::

কক্সবাজারে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সমৃদ্ধ বিমানবন্দর হচ্ছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ১০ হাজার ৫০০ ফুট। কক্সবাজারের এই বিমানবন্দরের রানওয়ে হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের ৪র্থ আন্তর্জাতিক বিমান এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করবে।

দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারে সমুদ্র বক্ষে নির্মাণ হচ্ছে রানওয়ে। যার খরচ হিসেব করা হয়েছে ১৫ শ ৬৯ কোটি টাকা। আর বিমানবন্দর রানওয়ে’র এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

বিমানবন্দরটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে এর রানওয়ে। অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের কাতারে নাম লেখাতে যাওয়া কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে সমুদ্র-ছুঁয়ে। সমুদ্রের নোনা জলের ঠিক ওপরেই উড়োজাহাজটি অবতরণের প্রস্তুতি নেবে। রানওয়ে স্পর্শ করার তিন সেকেন্ড আগে সেটি বিমানবন্দরে প্রবেশ করবে। পৃথিবীর উপকূলীয় শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে এই বিমানবন্দর।

বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে এখানে ৯ হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আরো ১৭০০ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারণ হবে। আর এই ১৭০০ ফুট হবে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলের উপরে।

যেখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। এছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯শ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং।

এদিকে করোনার হানা, এর মধ্যে অধিকাংশ সময়ই বৈরী আবহাওয়া। সকালে রোদ, তো বিকেল থেকে বৃষ্টি। কিন্তু থেমে নেই কাজ। কেউ ময়লা তুলছেন, কেউ মাটি ফেলছেন আবার কেউ ঢালাইয়ের কাজ করছেন। পুরোদমে চলছে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ।

এ প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৯ হাজার ফুট থেকে ১০ হাজার ৭শ ফুটে রানওয়ে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে এসে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্পোরেশনের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রথমে ৯ হাজার ফুট থেকে আরও তিন হাজার ফুট সমুদ্র কুলে সম্প্রসারণের কথা ছিল। কিন্তু অনেক গবেষণা ও কক্সবাজারের পরিবেশের কথা চিন্তা করে ১ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়।’

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি উন্নীত করা হচ্ছে। সম্প্রসারিত হলে দেশের পর্যটনসহ অর্থখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এটি কক্সবাজারবাসীর জন্য আনন্দের। এছাড়াও এ বিমানবন্দরকে ঘিরে তৈরি হবে একটি এভিয়েশন হাব।

এদিকে, রানওয়ে সম্প্রসারণকে ঘিরে নানা রঙে সেজেছে কক্সবাজার শহর। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে এলইডি প্রজেক্টর। সেখানে দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সাধারণ মানুষের মাঝেও বইছে খুশির আমেজ।

পাঠকের মতামত: