কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বেড়েছে নদী ভাঙন

কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদী ও প্লাবিত জনপদ থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্গত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।

জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, ঈদগাও, রামু ও সদর উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

এতে বন্যাকবলিত মানুষ মারাত্মক দুর্ভোগে রয়েছেন।
এছাড়াও পাহাড়ি ঢলের কারণে রামু-ঈদগড় সড়কের পানের ছরা ঢালায় বিরাট অংশ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

পাহাড়ি ঢলের পানি কমলেও জেলার মাতামুহুরি ও বাকখালী নদীর ভাঙন বাড়ছে। মাতামুহুরি নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে শুক্রবারও ভাঙনের ফলে শতাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মাতামুহুরি নদীর ফাসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, কাকারা, বিএমচর, পূর্ব বড়ভেওলা, শাহারবিল, চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, বাকঁখালী নদীর গর্জনীয়া, রাজারকুল, মিঠাছড়ি, ঝিলংজা, রামু পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের ৫২৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবারের ৪ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতির শিকার হয়েছে।

জেলার ৭১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার মধ্যে ৫১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, প্লাবিত এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০০ মেট্টিক টন চাল, ২ হাজার পেকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনের আরও জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: