কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য বিনামূল্যে সেনাবাজার ও চিকিৎসা সেবা

ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সময়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ও করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন অসহায় মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এবং কাঁচা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে আজ (২২ মে)  শুক্রবার কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন এর তত্ত্বাবধানে সেনা বাজার ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী (চাউল, আটা, তৈল, লবন, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি) সম্বলিত সেনাবাজারের আয়োজন করে ১০০০ পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে এ বাজার হতে দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করার পাশাপাশি ২০০ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

দেশে বিরাজমান লকডাউন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নিকট থেকে সেনাসদস্যরা সরাসরি সবজি ক্রয় করে এই বাজারে নিয়ে আসেন। ফলে অসহায় মানুষদের পাশাপাশি কৃষকরাও তাদের সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে উপকৃত হয়েছে। স্থানীয়দের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে বিবেচিত সেনাবাহিনীর এই কার্যক্রম যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের শুরু থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও সেনাবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে অসহায় এবং প্রান্তিক আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য রামু সেনানিবাসসহ দেশের অন্যান্য সকল সেনানিবাসের পক্ষ হতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার ৪টি উপজেলায় গত ২৪ মার্চ থেকেই মাঠে রয়েছে ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা। তারা টহল কার্যক্রমসহ করোনার ভয়াবহতার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরন করছেন।

এছাড়া, নিজেদের রেশন বাঁচিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী কর্মহীন অসহায় পরিবারের মানুষগুলোর হাতে তুলে দিচ্ছেন। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাঁধ পুনঃনির্মাণে স্থানীয়দের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন।

পাশাপাশি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জনসাধারণদেরকে  প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য এসকল এলাকায় সেনাবাহিনীর ১০টি মেডিক্যাল টিম গত বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে কাজ করছে।

পাঠকের মতামত: