কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৫৫৩ জন: উন্মুক্ত ১৯৮

কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত একজনের বেশি করোনা রোগী পাওয়া না গেলেও ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ থাকা প্রবাসিসহ সাধারণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রোববার রাত পর্যন্ত জেলায় ৫৫৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ১৪ দিনের সময়সীমা শেষ করায় ১৯৮ জনকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘মুক্ত’ হওয়ার এ সকল মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কোন লক্ষণ পাওয়া না যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের ছেড়ে দিয়েছে।

সুত্র মতে, হোম কোয়ারেন্টাইনে ৫৫৩ জনের মধ্যে ‘মুক্ত’ হওয়া ১৯৮ জন ছাড়া অন্যরা এখনও কোয়ারেন্টাইন মেনে চলছেন। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

সিভিল সার্জন জানান, কক্সবাজার জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ৫৫৩ জনের অধিকাংশই বিদেশফেরত। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ না থাকলেও সতর্কতা হিসেবে হোম কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে। ‘মুক্ত’ হওয়া ১৯৮ জনের শরীরে ১৪ দিনেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন ছাড়াও জেলায় ৪ জন বিদেশফেরত বাংলাদেশিকে প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন কুতুবদিয়া উপজেলায় ও অন্য দুইজন জেলার অন্য উপজেলায়। এদের মধ্যে কুতুবদিয়া থাকা দুইজন ভারতের গয়া-কাঁশি থেকে ফেরা এক হিন্দু দম্পতি।

সিভিল সার্জন দাবি করছেন, জেলার হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচাররি, ক্লিনার, আায়াসহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট), সার্জিকেল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ অন্যান্য করোনা ভাইরাসজনিত চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছ। এইসব ইকুইপমেন্টের কোন সংকট নেই বলেও দাবি সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমানের।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারে এ পর্যন্ত মাত্র একজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ মার্চ নিশ্চিত হওয়া ওই রোগী সৌদি আরব থেকে পবিত্র ওমরাহ পালন করে দেশে ফেরা একজন বয়োবৃদ্ধা মহিলা।

মুসলিমা খাতুন নামের ওই মহিলাকে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমানের মা।

পাঠকের মতামত: