কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে ৮৪ হাজার ডোজ করোনার টিকা পৌঁছেছে

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী::

কক্সবাজারে ৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা এসেছে। রোববার ৩১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এই করোনার ভাইরাসের টিকা কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআই স্টোরে পৌঁছানো হয়।কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই সুপার সাইফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান, জেলা ড্রাগ সুপার রোমেল বড়ুয়া, কোল্ড চেইন ট্রেইনার তাপস কুমার বড়ুয়া এবং তিনি নিজে সম্মিলিত ভাবে বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে আনা করোনার ভাইরাসের এসব টিকা গ্রহণ করেছেন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই সুপার সাইফুল হক জানান, কক্সবাজারে আনা করোনার ভ্যাকসিন গুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড আ্যাষ্ট্রাজেনের টিকা “কোভি শিল্ড”।

তিনি আরো জানান, ৮৪ হাজার ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকাতে ৮ হাজার ৪০০ ভায়াল রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে এক হাজার ২০০ ভায়াল টিকা আছে। প্রতিটি ভায়ালে টিকা রয়েছে ১০ ডোজ। সে হিসাবে কক্সবাজারের ৪২ হাজার নাগরিককে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া যাবে।

একজন নাগরিককে ২ ডোজ করে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দিতে হবে। এক ডোজ দেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ক্যাটাগরীর নাগরিকগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের এই টিকা দেওয়া হবে। তারা হলো : সকল সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বাস্থ্য বিভাগীয় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনী সহ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল সদস্য, বিজিবি, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, গণমাধ্যম কর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তা, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়োজিত সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, স্বাস্থ্য কর্মী, করোনার সম্মুখযোদ্ধা সহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত স্টাফ।

জেলা ইপিআই সুপার সাইফুল হক আরো জানান, আজ ৩১ জানুয়ারী ও কাল ১ ফেব্রুয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ প্রতি উপজেলা থেকে ৫ জনকে মানবদেহে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা আগামী ২ ফেব্রুয়ারী ও ৩ ফেব্রুয়ারী ২ দফায় জেলার টেকনেশিয়ান, নার্স, উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার পরিকল্পনা ভিজিটর সহ সংশ্লিদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এরপর জেলা স্বাস্থ্য কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির দিকে জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে বলে জেলা ইপিআই সুপার সাইফুল হক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

ইপিআই সুপার আরো জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা সদর হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজকে কক্সবাজার জেলার করোনা ভাইরাসের টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: