কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সংকেত মানছে না পর্যটকরা

বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল। ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের সৃষ্ট বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। সৈকতে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আগমনের কথা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে হোটেলে বন্দি অনেক পর্যটক। আবার অনেকেই বৃষ্টির উপেক্ষা করে নেমে পড়ছেন সমুদ্রের কূলে। ইমরান হোসেন নামের এক পর্যটক বলেন, আবহাওয়া খারাপ এটা জানতাম। কিন্তু কক্সবাজারে এসে এভাবে পরিস্থিতি খারাপ হবে তা জানতাম না। বৃহস্পতিবার থেকে হোটেলেই বসে দিন কাটিয়েছি।

কিন্তু অবশেষে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে চলে এলাম। তানিসা নামে অপর এক পর্যটক বলেন, ভালো লাগছিল না। তাই বৃষ্টি ভিজে সৈকতের বালিয়াড়ি হাঁটছি আর সৈকতের বিশাল বিশাল ঢেউ উপভোগ করছি। শাওন, জয় ও সাদ্দাম বলেন, সৈকতে গোসল করতে নেমে পড়েছিলাম। কিন্তু লাইফ গার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ গোসল করতে দিল না।

তারা নিরাপত্তার কথা বলে সৈকত থেকে উঠিয়ে দিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আর আনন্দ করা গেল না। এদিকে পর্যটক আগমনের ওপর নির্ভর করে সংসার চলে সৈকতের ফটোগ্রাফার ও হকারদের। কিন্তু দুদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেকার রয়েছেন তারা।

শুক্কুর নামের এক ফটোগ্রাফার বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সব শেষ করে দিল। বৃষ্টির কারণে পর্যটকরা সৈকতে কম নামছে। ফলে পর্যটকদের ছবি তুলতে না পেরে বসে থাকতে হচ্ছে। আর ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় সৈকতে পর্যটকদের নামতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে লাইফ গার্ডকর্মী।

সি-সেইভ লাইফ গার্ড’র ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বলেন, গভীর নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজারকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আর পর্যটকদের সৈকতে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

এর জন্য মাইকিংও করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক পর্যটক নিষেধ অমান্য করে সৈকতে নেমে পড়ছে। তারপরও চেষ্টা করছি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে যেতে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, গভীর নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আগামী দু-একদিন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়েছেন ৪ শতাধিক পর্যটক।

পাঠকের মতামত: