কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কুরবানির মাংস যেভাবে খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না

মুসলিম ঐতিহ্যের দুটি ঈদ উৎসব। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আঃ) এর সুন্নাহ হিসেবে উম্মতে মোহাম্মদির উপযুক্ত নরনারীর উপর কুরবানিকে ওয়াজিব করা হয়েছে। গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া প্রভৃতি পশু কুরবানীতে ব্যবহার করা হয়।

এই পশুর মাংসকে রেড মিট বা লাল মাংস বলে। এতে মায়োগ্লোবিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বলে কাঁচা অবস্থায় টকটকে লাল দেখায়। পুষ্টিগুণের বিচারে লাল মাংস অনেক সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন বি, জিংক এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীর গঠনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস এই লাল মাংস হলেও এগুলোতে সম্পৃক্ত চর্বির (স্যাচুরেটেড ফ্যাট) মাত্রা থাকে বেশি। থাকে প্রচুর খারাপ কোলেস্টেরলও। ফলে বেড়ে যেতে পারে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।

এ বিষয়ে আয়ুর্বেদের শিক্ষার্থী দেবোজ্যোতি দত্ত জানিয়েছে কুরবানীর মাংস যেভাবে খেলে শারীরিক কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জানান……

১) যে বেলা মাংস খাওয়া হবে সে বেলা দুধ খাওয়া যাবে না।

২) মাংস বা গুরুপাচ্য খাবার খেলে পেট পুড়ে না খেয়ে, পেটের অর্ধেক খালি রাখতে হবে, তাহলে সহজে হজম হবে৷

৩) মাংস বা গুরুপাচ্য খাবার উষ্ণ (মশলা বেশি) হওয়ায়, এই খাবার খাওয়ার পর ঠান্ডা কোন কিছু খাওয়া যাবে না। (সহজ কথায় ঠান্ডা পানীয় খাওয়া যাবে না)

৪) গুরুপাচ্য খাবার খাওয়ার পর মৌরি খেলে, এবং সারাদিন গরম পানি খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়।

৫) বাসি খাবারে খারাপ গুণ বেড়ে যায় বিধায় মাংস বাসি খাওয়া বাদ দিতে হবে।

৬) মাংস খাওয়ার পর কিছুক্ষন প্রকৃতির কাছে বা বাইরে গিয়ে হেঁটে আসতে হবে।

৭) মাংস খাওয়ার পর ক্ষুধা না লাগা পর্যন্ত অন্য কিছু খাওয়া যাবে না।

৮) রাতে মাংস খেলে ঘুমানোর অন্তত ৩ ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিতে হবে, না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পাঠকের মতামত: