কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কুুতুপালং বাজারে টোল আদায়ের নামে হয়রানি

উখিয়ার রােহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ কুতুপালং বাজারটি উখিয়ার সবচাইতে বানিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে । আশে পাশের ১০টি ক্যাম্পের ২ / ৩ লক্ষ রােহিঙ্গা এই বাজারের নিয়মিত ক্রেতা বিক্রেতা । ফলে এখানে টোল আদায়ের কোন নিয়ম নীতি নাই বললেই চলে । ইজাদারের নিয়ােগকৃত টোল আদায়কারী সকাল সন্ধ্যা টোল আদায়ের নামে নির্ধারিত বাজারের ফেরী ফেরীর বাইরেও জোর পূর্বক টাকা আদায় করে হয়রানি করার অভিযােগ উঠেছে । বেশ কয়েকজন রােহিঙ্গা ক্রেতা বিক্রেতা জানালেন , তাদের করার কিছু নাই । টোল আদায়কারী প্রভাবশালী তাদের কথামত টাকা না দিলে উত্তম মধ্যম খেতে হবে । তার চাইতে যা চায় তা দিয়ে কোন রকম খেয়ে পরে বেঁচে আছি । সাম্প্রতি কুতুপালং বাজার ঘুরে রােহিঙ্গা নেতা মাে : নুর , নুর হাশেম , রশিদ আহম্মদসহ আরও বেশ কয়েকজনের সাথে কুতুপালং বাজার নিয়ে আলাপ করা হলে তারা জানান , এ বাজারটি উপ – ইজারা । নিয়েছে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি । সে বাজারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে আবারও উপ – ইজারা দিয়েছে । ইজারাদারের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও অনিয়ন্ত্রিত এ বাজারে টোল ( হাসিল ) আদায়ে নিয়মনীতির কোন বালাই নাই । যে যেদিকে পারে হাতিয়ে নিচ্ছে । রােহিঙ্গা ক্রেতা – বিক্রেতা এদের কাছে নিরুপায় । যেহেতু এ বাজার ছাড়া তাদের আর যাওয়ার
– কোন জায়গা নেই । তারা বলেন , বাজারের নিদিষ্ট একটি সীমানা থাকলেও কুতুপালং বাজারের কোন সীমানা নেই । বালুখালী থেকে বুড়ির ডালা পর্যন্ত এলাকায় যে সমস্ত মালামাল বিক্রি হবে কুতুপালং বাজার ইজারাদারকে অবশ্যই চাঁদা দিতে হবে । তাও আবার তাদের কথামত । স্থাণীয় কয়েকজন বললেন , যিনি বাজার কমিটির সভাপতি তিনি ইজারাদার । এখানে বলার বা করার কিছু নেই । সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী টোল আদায়ের নির্ধারিত সাইবাের্ড দেওয়ার কথা থাকলেও কুতুপালং বাজার ছাড়াও কোন বাজারে সাইনবাের্ড ঝুলানাে হয়নি । যার ফলে ইজারাদারের লেলিয়ে দেওয়া টোল আদায়কারী নামের মাস্তান চক্র তাদের ইচ্ছামত টোল আদায় করছে । একাধিক রােহিঙ্গা অভিযােগ করে জানান , এ বাজারে ব্যবসা করতে হলে , ইজারাদারের কথামত চলতে হবে । না হলে পরদিন তার দোকানে অস্তিত্ব । খুজে পাওয়া যাবে না । রােহিঙ্গা নেতা দিল মােহাম্মদ ও মােহাম্মদ শফি জানান , কুতুপালং বাজার ঘিরে একটি অপরাধী চক্র কাজ করছে । তারা ক্যাম্পে জাল টাকা তৈরিসহ যুবতী নারী পাচারের মত ঘৃণ্যতম অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় । কতিপয় রােহিঙ্গাদের যােগসাযােগে । এসব অনৈতিকতার নেপথ্যে ইয়াবার চালান পাচার হচ্ছে বলে তারা স্বীকার করেন । । সাইবাের্ড না থাকার কারনে স্থাণীয় ও রােহিঙ্গা ক্রেতা বিক্রেতা বেশিরভাগ । আর্থিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাে : নিকারুজ্জামান বলেন , যেসব হাট – বাজারে সাইবাের্ড টাঙানাে হয়নি ঐ সব বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা অথবা কারাদন্ডের আওতায় আনা হবে । প্রতিটি বাজারে পন্য মূল্যের তালিকা টাঙানাে বাধ্যগত করা হবে । বিশেষ করে কুতুপালং বাজার ঘিরে যেসব রােহিঙ্গারা ব্যবসা করছে তা করতে দেওয়া হবে না । স্থাণীয়রা নির্ধারিত ফেরী ফেরীর আওতায় সরকার নির্ধারিত টোল দিয়ে বেচা কেনা করব ।

পাঠকের মতামত: