কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কড়া নজরদারিতেও ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের সাগরপাড়ি

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ৩টি পয়েন্ট দিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন রোহিঙ্গারা। সীমান্তে কড়া নজরদারির পরও ঠেকানো যাচ্ছে না তাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের যথাযথ তৎপরতার অভাবেই ঘটছে এমন অপরাধ। আর সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তৎপরতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড।

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের মহেশখালী, শাহপরীর দ্বীপ ও শাপলাপুর পয়েন্ট। এসব অবস্থানে বলা হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান। অথচ এই পয়েন্টগুলো দিয়েই দুই মাস আগে নৌকায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় সাগর পাড়ি দিয়েছিল বলে দাবি রোহিঙ্গাদের। তারা বলেন, মহেশখালীর একটা ছেলে আমাদের ট্রলারে তুলে দেয়। আমরা চার দিন ভেসে ছিলাম সাগরে।

এদিকে স্থানীয়দের দাবি, উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবির ও সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারপরও কীভাবে রোহিঙ্গারা বার বার সাগরপাড়ি দিচ্ছেন। এই জন্য প্রশাসনের যথাযথ তৎপরতার অভাবকেই দায়ী করছেন তারা।

স্থানীয়রা বলেন, তারা এভাবে সাগরে গেল। তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকার কথা কিন্তু কীভাবে এটা হলো। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা কীভাবে মানব পাচার হচ্ছে এটা জানা জরুরি।

তবে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দুই কর্মকর্তা সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানালেন, সমুদ্র উপকূলে আরও তৎপরতা বাড়ানো হবে। বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন উপ অধিনায়ক মেজর রুবায়েত কবির বলেন, মানব পাচার এই এলাকা দিয়ে বন্ধ করতে হলে সমুদ্রে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার সোহেল রানা বলেন, আমরা অনেক সীমিত জনবল দিয়ে অনেক বড় একটা বাউন্ডারি পাহারা দিচ্ছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও সাগরপাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাবার সময় সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবিতে ২১ জন নিহত ও ৭৩ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আর বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয় আরও ৪’শ জন রোহিঙ্গাকে।

পাঠকের মতামত: