কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে ৪৬ রোহিঙ্গা প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। এখানে বসবাস করছে ১১লাখের অধিক রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগ দোকান পাট খোলা রয়েছে। দোকান গুলোতে  চলছে আড্ডা। কেউ মানছেনা সামাজিক দূরুত্ব। অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের মুখে মাস্ক ও গ্লাভস নেই। রোহিঙ্গারা করোনার ব্যাপারে কোন ধারনা নেই।

ক্যাম্পে বসবাসকারী লোকজন জানিয়েছেন, ক্যাম্প অভ্যন্তরে গাদাগাদি করে ঝুপঁড়িতে বসবাস করছি। অনেক রোহিঙ্গা পড়ালেখা জানে না। তবে ক্যাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে । কাউকে ঘর থেকে বাহির না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এখনো পযর্ন্ত কোন রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হয়নি। কক্মবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ বাসির জন্য সুখবর। ইতিমধ্যে কক্মবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো লকডাউনের ঘোষনা দেন।

সে থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও গুলোর কার্যক্রম সীমিত করেন।এছাড়া কক্সবাজার  -টেকনাফ সড়কের ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পকে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারিয়েন্টানে রুপান্তর করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ আসা ৪৬ রোহিঙ্গা কে হোম কোয়ারেন্ট রাখা হয়েছে । তারা ভারত, মালয়েশিয়া, দুবাই ও অস্টেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন।

উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ বলেন, ক্যাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে । এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধুয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এখনো পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্ত হয়নি।

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমান বলেন, এনজিওদের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সচেতন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন মাঝি ও ক্যাম্প কমিটির সমন্বয়ে এ কার্যক্রম চলছে।

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি আবু তাহের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দোকান পাট খোলা রয়েছে। সিআইসি স্যার বলছেন দোকান পাট বন্ধ করতে। তবে কিছু রোহিঙ্গা চায়ের দোকান খোলে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে

কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার সম্প্রীত প্রাতিষ্ঠানিক হোমকোয়ারেন্টে পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।সেখানে তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রমসহ  সেখানে তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রম সহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রমের কার্যকারিতা দেখে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরআরআরসি (জ্যেষ্ঠ যুগ্ন সচিব) মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার আরো বলেন, ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৪৬রোহিঙ্গাকে হোমকোয়ারেন্টে রাখ হয়েছে। এখনো পযর্ন্ত কোন রোহিঙ্গা আক্রান্ত হয়নি। ১৪দিন পর নিজ নিজ বাড়ীতে ফেরত যেতে পারবে বলে জানান। স্থানীয় এনজিও সংস্থা কোস্ট ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে উখিয়ার চারটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আড়াই লাখের অধিক বার্মিজ ভাষায় অনুবাদ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী মাঝে বিতরন করেছেন কোস্ট ট্রাষ্টের টীম লিডার জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।

এ কঠিন সময়ে মসজিদে নাগিয়ে নামাজ দোয়া নিজ নিজ গৃহে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তিনি সকল ক্যাম্প ইনচার্জদের নির্দেশনা হয় । কোন অবস্থাতেই কোন ধরনের জমায়েত না হতে ক্যাম্প ইনচার্জ ও অন্যান্য দায়িত্বশীলেরা কড়া নজরদারি করছেন এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে অবিরাম কাজ করছেন ।

ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান বলেন রোহিঙ্গাদের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন খোলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে হাত ধুয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

পাঠকের মতামত: