কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ২০একর জায়গা উদ্ধার

কক্সবাজারের উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিনস্থ মেধাকচ্ছপিয়া বনবিটের আওতাধীন জাতীয় উদ্যান এলাকায় বনবিভাগের অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মিত পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ২০ একর বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করা হয়। বুধবার (২৪ফেব্রুয়ারী) বিকালে কক্সবাজার বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় ও সহকারী বনসংরক্ষক সোহেল রানা সার্বিক সহযোগীয় ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বনবিটের জাতীয় উদ্যানের জায়গায় বনভূমি দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে কতিপয় ভূমিদস্যু। জাতীয় উদ্যানের জায়গায় অবৈধ বসতি স্থাপনা তৈরির সংবাদ পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় বুধবার বিকালে অভিযান চালিয়ে মেধাকচ্ছপিয়া এলাকা থেকে গড়ে তোলা পাকা দালান ঘর উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ২০ একর বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দখলমুক্ত করা হয়।

ফাঁসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা ইলিয়াস হোছাইন,মেধাকচ্ছপিয়া বনবিট কর্মকর্তা শাহিন আলম,নাপিতখালী বনবিট কর্মকর্তা মো.আলা উদ্দিন,ফাঁসিয়াখালী বনবিট কর্মকর্তা আবুল হোসেন,কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ দুই রে‌ঞ্জের স্টাফবৃন্দ, ভি‌লেজার ও সি‌পি‌জি সদস্যবৃন্দরা অ‌ভিযা‌নে অংশগ্রহণ ক‌রেন। অভিযানের নেতৃত্বে দেয়া ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা ও ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের মেধাকচ্ছপিয়া বিটের জাতীয় উদ্যানের বনভূমির জায়গায় অবৈধ দখলদার পাকাঘর নির্মাণ করে বসতি গড়ে তুলেন।

স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) নির্দেশনায় বনবিভাগের একদল বন কর্মীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে দখল উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ দখলদারকে বনবিভাগের জায়গা থেকে দখল উচ্ছেদ করে অন্তত ২০ একর মতো জায়গা অবৈধ দখলদারমুক্ত করা হয়। এনিয়ে বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট আইনে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: