কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া উচিতারবিলে সরকারি জমি উদ্ধার ; দখলবাজ চক্রের ৪০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের আলোচিত উচিতারবিল এলাকায় প্রভাবশালী দখলবাজ চক্রের কবলে থাকা সরকারি দুই বিঘা জমি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। সোমবার তিনঘন্টার অভিযানে বনবিভাগের লোকজন ওই এলাকায় নতুন করে তৈরী করা দখলবাজদের অন্তত ৪০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নির্দেশে চকরিয়ার ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে বনকর্মীরা এ অভিযান পরিচালনা করেন। তবে অভিযানের সময় খলবাজিতে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযানের সময় বনবিভাগের ফাসিয়াখালী বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বনপ্রহরীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারে বনবিভাগের ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বনবিভাগের বেসুমার জায়গা দখলে নিয়ে একটি প্রভাবশালী চক্র ফাঁ‌সিয়াখালী বনবিটের উ‌চিতার বিল এলাকায় গাছ কেটে বিপুল পরিমাণ নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করে।

বিষয়টির আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ইতোপুর্বে চকরিয়া উপজেলা বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এবং বিভাগীয় বনকর্মকর্তাকে (ডিএফও) অবগত করা হয়। সর্বশেষ বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নির্দেশে সোমবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত উচিতারবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন করে তৈরী করা দখলবাজদের অন্তত ৪০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি দুই বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওইসময় দখলবাজিতে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।

ফাসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বার বার উচ্ছেদ অভিযানের পরও বনভূমি দখল করে যাচ্ছেন একটি প্রভাবশালী চক্র। তাঁরা সরকারি এসব জমি দখলের পাশাপাশি প্লট আকারে বিক্রিও করছেন। অভিযানের সময় আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি, যারা দখলবাজদের কাছ থেকে প্লট কিনছেন, তারা টাকা হারাবেন, জায়গাও হারাবেন। প্রয়োজনে বনবিভাগ সরকারি জায়গা উদ্ধারে প্রতিদিন সেখানে অভিযান চালাবেন বলে নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, উচ্ছেদ পরবর্তী সরকারি জায়গা রক্ষাকল্পে চকরিয়া উপজেলা বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এবং কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের (ডিএফও) মো.তহিদুল ইসলামের সিদ্বান্তে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। #

পাঠকের মতামত: