কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ১১ জনের

করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন নগরীর বিভিন্ন থানা ও ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৪ দিনে ১০৮ জনের মৃত্যু হলো চট্টগ্রামে। গ্রামের চেয়ে শহরে মৃত্যুর হার বেশি। শহরে ৮০ শতাংশ। আর গ্রামে ২০ শতাংশ। উপজেলার মধ্যে হাটহাজারীতে বেশি। আর নগরে কোতোয়ালি এলাকায় বেশি।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, গত বছর ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর এটাই একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ১০ এপ্রিল চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জন মারা যান। এ মাসে মাত্র দুই দিন ২ এপ্রিল ও ১৪ এপ্রিল জেলায় কোনো করোনা রোগী মারা যাননি। এদিকে করোনাকালের সর্বোচ্চ ৫৪১ জন শনাক্ত হয় চলতি মাসের ১১ এপ্রিল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি চট্টগ্রামে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৭১ জনের। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। ১ হাজার ৩৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত ১৭১ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৮৮৭ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৯ হাজার ২৪১ জন ও উপজেলার ৯ হাজার ৬৪৬ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩৭০ জন ও উপজেলার ১২৭ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৩০টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ৮৮৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ১৭১ জনের মধ্যে ১৪১ জন নগরীর ও ৩০ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
তথ্য মতে, বিআইটিআইডিতে ৩১৭টি নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ৩৩ ও জেলার ১০ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। চমেকে ৪৬৮ নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ২৭ ও জেলার ৮ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরীর ২২ জন ও জেলার ২ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। শেভরণে ৩১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ২৭ জন ও জেলার ৮ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। আরটিআরএলে ৬২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৩০ জন নগরীর ও জেলার ২ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টারে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ২ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছেন। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৭.৪ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৬০ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৩ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৫২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৪ শতাংশ ও ৬০ থেকে ঊর্ধ্বরা ১৩.৫২ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: