কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোডের দু’পাশের ১৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ৩৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘর অপসারণ, উচ্ছেদ কাজে বাধা দেয়া ও পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা কাজে দায়িত্বরত সরকারি টিমের সদস্যকে শারীরিক ভাবে আক্রমণ করায় ১০ জনকে গ্রেফতার ও সাত দিন করে দন্ড এবং বিদ্যুতের ৩০টি মিটার জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে বিনা মালিকানার এসব পাহাড়ে কীভাবে বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দেয়া হলো তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত করা হবে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিরতিহীন অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, আবদুস সামাস শিকদার, মামনুন আহমেদ অনীক ও মো. শরীফ হোসেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন পরিচালক (অঞ্চল) মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচালক (মেট্রো) নুরুল্লাহ নূরী, উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদ, রেলওয়ের পক্ষে ছিলেন এস্টেট অফিসার মাহবুবুল আলম।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন পরিচালক (অঞ্চল) মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচালক (মেট্রো) নুরুল্লাহ নূরী, উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদ, রেলওয়ের পক্ষে ছিলেন এস্টেট অফিসার মাহবুবুল আলম।

অভিযানে বায়েজিদ এবং সীতাকুণ্ড প্রান্ত দুইদিক থেকে দুটি টিম ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নগরে প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ধসে দুর্ঘটনা ঘটে। এবছর নবনির্মিত সিডিএ লিংক রোডের দু’ধারে ১৬টি পাহাড়ে করোনাভাইরাস দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বিগত এপ্রিল-মে মাসে পাহাড় কেটে ব্যক্তিগত ও সরকারি জমিতে (রেলওয়ের জমি ও খাস জমি) প্রচুর নতুন ঘর গড়ে তুলেছে।

যা চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ঝুঁকি এড়াতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উচ্ছেদকাজে বাধা দেয়া ও পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা কাজে দায়িত্বরত সরকারি টিমের সদস্যকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে সাতদিন করে দন্ড  এবং বিদ্যুতের ৩০টি মিটার জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে বিনা মালিকানার এসব পাহাড়ে কীভাবে বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দেয়া হলো তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত করা হবে।

পাঠকের মতামত: