কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চাঁদে ওয়াইফাই বসানোর পরিকল্পনা নাসার

এবার পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বসানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

চলতি মাসের শুরুর দিকে এক রিপোর্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসা। জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রান্তেই ইন্টারনেট সুবিধা সমান নয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এবং ভবিষ্যৎ চন্দ্রাভিযানকালে তথ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিজনেস ইনসাইডার।

এটি একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা কম্পিউটার, মোবাইল ডিভাইস এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের সুযোগ দেয়। এই প্রযুক্তিতে একে অপরের সঙ্গে তথ্য সরবরাহ করতে তারের পরিবর্তে একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সংকেত ব্যবহার করে। ওয়াইফাই আমাদের দ্রুতগতির প্রতিদিনের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ অফিসে, হোটেলে, ক্যাফে, এয়ারপোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, মার্কেটে এবং অন্যান্য জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াইফাই ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের যোগাযোগের সুবিধার জন্য।

নাসার গ্লেন রিসার্স সেন্টারের প্রযুক্তিবিষয়ক পরিচালক ম্যারি লোবো বিবৃতিতে বলেছেন, আর্টেমিসের অধীনে মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠাতে আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হই, এতে সেই সমস্যার বড় একটি সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর্টেমিস কর্মসূচি প্রকাশ করা হয় গত বছর। ১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো আবার এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে চাঁদে পাঠানোর লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এই পরিকল্পনার অধীনে ২০২১ সালে চাঁদে মনুষ্যবিহীন মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। এরপর ২০২৩ সালে মনুষ্যবাহী যান পাঠানো হবে। ২০২৪ সালে চাঁদে অবতরণ করানো হবে।

এসব নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে নাসার কম্পাস ল্যাবে। এই গবেষণাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে ক্রু, রোভার, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম, খনিতে খননের সরঞ্জাম। এসব ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপনের বেজক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা হবে।

ন্যাশনাল ডিজিটাল ইনক্লুশন অ্যালায়েন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডে শতকরা প্রায় ৩১ ভাগ বাড়িতে কোনো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা নেই। ফলে ডিজিটাল অসমতা দূরীকরণের বিষয়ে বিশ্লেষণ করতে নাসার গ্লেন রিসার্স সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক সংগঠন গ্রেটার ক্লিভল্যান্ড পার্টনারশিপ। তারা দেখতে চায়, চাঁদের মাটি ব্যবহার করে পৃথিবীর ডিজিটাল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব কিনা।

পাঠকের মতামত: