কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চেয়ারম্যানের পক্ষে না বলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে শোকজ

মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষে না বলায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকসহ তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের তিন নেতা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক কক্সবাজারের চকরিয়া প্রতিনিধি মিজবাউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমুদ ও হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ।

জানা যায়, গত ২১ আগস্ট শুক্রবার বিকালে হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামে গরু চোর অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে বেঁধে নির্যাতনের পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। গত ২৫ আগস্ট এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার পারভীন বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

শোকজ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজবাউল হক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মিরানুল ইসলাম মিরানকে বহিষ্কার করা উচিত, কিন্তু তা না করে উল্টো আমাদের তিনজনকে শোকজ করা কতটুকু সাংগঠনিক নিয়ম তা বোধগম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, মা-মেয়েকে নির্যাতনকারী ওই চেয়ারম্যান মিরানের পক্ষে কথা না বলা ও সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমাকে শোকজ করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক কমিশনার ছৈয়দ আলম বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক মিজবাউল হক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমুদ ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দেন ও মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপরাধে তারা তিনজনের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগ শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

পাঠকের মতামত: