কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চোর চক্রের কাছ থেকে জীবিত ও মৃত নবজাতক উদ্ধার, আটক ৫ নারী

সিরাজগঞ্জে দু’টি হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া দুই শিশুর মধ্যে একজনকে জীবিত ও আরেকজন মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার জেলার সলঙ্গা থানা পুলিশ আলোকয়িদা গ্রামের মৃত সোলায়মানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত চোর চক্রের ৫ জন নারী এবং একজন পুরুষ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী সয়রন বিবি, তার মেয়ে আলপনা খাতুন, ছেলে রবিউল ইসলাম, রবিউলের স্ত্রী ময়না খাতুন, একই গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মিনা খাতুন ও একই গ্রামের রেজাউলের স্ত্রী খাদিজা খাতুন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতাল ২৩দিন বয়সী এক বাচ্চা ও শনিবার বিকেলে সলঙ্গা থানার সাকাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে জন্মের ৬ ঘণ্টা পর আরেক বাচ্চা চুরি হয়।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকালে তাড়াশের নওগাঁ গ্রামের মাজেমের স্ত্রী সমিতা খাতুন সিজারের মাধ্যমে ছেলে বাচ্চা জন্ম দেন। দুপুরের পর বোরকা পরিহিত এক নারী নার্স পরিচয় দিয়ে সমিতা ও তার স্বজনদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। বিকেল তিনটার দিকে নার্স পরিচয়ধারী ওই নারী বাচ্চার নানীর কাছ থেকে বাচ্চাকে কান্না থামানোর কথা কোলে নেয়।

এরপর হাঁটতে হাঁটতে হাসপাতালের বারান্দায় আসে এবং নানীকে ভেতরে চলে যেতে বলে। শিশুটির নানী কেবিনের ভেতরের চলে যাওয়া মাত্র নার্স পরিচয়ধারী নারী বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর পুলিশ এসে হাসপাতাল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে দেখা যায় এক নারী বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ ফুটেজে দেখা নারীকে শনাক্ত করে রাত ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামে সোলায়মানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাচ্চাটি উদ্ধার এবং ৬ জনকে আটক করা হয়। এরপর ঘটনাস্থলেই তাদেরকে গত মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতাল থেকে উল্লাপাড়ার উপজেলার দুর্গানগর ইউপির ভাদালিয়া গ্রামের চয়ন ইসলাম ও মঞ্জুয়ারা বেগমের ২৩দিন বয়সী শিশু বাচ্চা চুরি বিষয়ে জেরা করা হয়।
এক পর্যায়ে চোর চক্রের সদস্যরা সেই বাচ্চাটিও চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে ওই বাড়ির একটি ঘরের ধানের ঢোলের ভেতর থেকে মৃত অবস্থায় বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।

তবে কেন, কি কারণে তারা চুরি করেছে সে বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি।
তিনি আরো জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাঠকের মতামত: