কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এমসি কলেজে ধর্ষণ

ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর সহ ৮ জনকে আসামি করে চার্জশিট

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার ৩৭ দিন পর বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সিলেটর মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল কাশেমের আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার খোকন চন্দ্র সরকার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে-ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আটজনের জনের মধ্যে ছয়জন ধর্ষণে সরাসরি জড়িত, বাকিরা সহযোগিতা করেছে।

সরাসরি জড়িতরা হলেন-  সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া।

আর রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।ওই আট আসামির সবাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

এর আগে, গত কয়েকদিন পূর্বে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্টে চার জনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। অন্যরা ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রাপ্ত ডিএনএ রিপোর্টে জানা যায় সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্কর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আট জন আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, শাহ মাহবুবুর ও অর্জুন লস্কর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এছাড়া রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা আদালতে স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরদিন তার স্বামী শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পাঠকের মতামত: