কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

অবৈধ মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা সময় পাচ্ছেন

জুলাই থেকে বন্ধ হচ্ছে অবৈধ মোবাইল ফোন

দেশে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের প্রযুক্তি কার্যক্রম আগামী ১ জুলাই মাস থেকে চালু হবে। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) তালিকায় যেসব ফোন থাকবে না সেগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সেগুলো আর চালু করা যাবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। তবে যাদের কাছে ইতোমধ্যে অবৈধ ফোন চালু আছে তাদের সময় দেবে বিটিআরসি।
বুধবার (১৬ জুন) বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গ্রাহক কর্তৃক বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটসমূহ ৩০ জুন, ২০২১ তারিখের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ফলো ১ জুলাই, ২০২১ তারিখ হতে সেটসমূহ বন্ধ হবে না-বিটিআরসি।‘

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে দেশে মোবাইলফোন গ্রাহক সংখ্যা প্রঅয় ১৬ কোটিরও অধিক। মোবাইলফোন গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর বিদেশ থেকে প্রায় ১.৫ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির পাশাপাশি কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবেও হ্যান্ডসেট আমদানির অভিযোগ আছে। মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিটিআরসি কর্তৃক ১া জুলাই, ২০২১ থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালু করা হচ্ছে।‘
এর আগে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি মুঠোফোন বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করতে এনইআইআর নামের এ ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সংস্থাটি সিনেসিস নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত নভেম্বরে চুক্তি করে।
এনইআইআর ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে বৈধভাবে আমদানি ও উৎপাদিত মুঠোফোনের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু হওয়া ফোনের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) মিলিয়ে দেখা হবে। অবৈধ, চুরি যাওয়া ও নকল মুঠোফোন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না।
সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে। নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায় বিটিআরসি। খসড়া নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, অপারেটররা তাদের লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইএমআই নম্বর দিয়ে এই ডেটাবেইজ তৈরি করবে।
ইএমআই নম্বর হল ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা, যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#06# পরপর চাপলে ওই মোবাইল ফোনের বিশেষ এই শনাক্তকরণ নম্বরটি পর্দায় ভেসে উঠে। অপারেটরদের ইআইআর তৈরির পর তা জাতীয় ইআইআর (এনইআইআর) এ সংযুক্ত হবে। এর ফলে সব অপারেটরদের ইআইআর খুব সহজেই নজরদারি করতে পারবে বিটিআরসি। ইআইআর ও এনইআইআর বাস্তব সময় সিঙ্ক্রোনাইজেশন হবে অর্থাৎ ইআইআরে ডেটা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এনইআইআরে চলে আসবে।
মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি হল মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে 16002 নম্বরে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#06# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যাবে।

পাঠকের মতামত: