কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে এলো ৩৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

করোনাভাইরাসের প্রকোপে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বর মাসে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে শুরু হয় পেঁয়াজ আমদানি। মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমার থেকে ২২ দশমিক ৬৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এ বন্দরে পৌঁছেছে। এ নিয়ে সাত দফায় ৩৮৩ দশমিক ৩৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এলো।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার মোহাম্মদ সেলিম নামে টেকনাফের এক ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে ২২ দশমিক ৬৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এ নিয়ে করোনার পর ৩৮৩ দশমিক ৩৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের আরো উৎসাহিত করা হচ্ছে।

টেকনাফ শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বন্দর দিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে তিন হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের জুলাই মাসে এসেছিল ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। সেপ্টেম্বর মাসে ৫৭ দশমিক ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছিল। সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর ২২ দশমিক ৬৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে।

টেকনাফ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ছোট হাজী মার্কেট ও কাঁচাবাজারের কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কেউ ৯০ টাকা আবার কেউ ৮৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। অথচ গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকায়। চার দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা।

দামের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান- চাহিদা অনুযায়ী আমদানি কম হচ্ছে, এ কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এদিকে এভাবে লাগামহীন দাম বাড়ার বিষয়টিকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলছেন ভোক্তারা।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে রোববার ৭৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছেন তারা। প্রতি বস্তায় ২-১ কেজি পেঁয়াজ নষ্ট থাকে। পরিবহন খরচ আছে। সব মিলিয়ে ৮৫-৯০ টাকার নিচে বিক্রি করলে পোষায় না।

টেকনাফ স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মিয়ানমারে বুকিং দিয়ে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পেঁয়াজ আনতে ২-৩ দিন লাগে। প্রথম দফায় ২২ দশমিক ৬৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আরো পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলার আসছে।

স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি, আমদানি বাড়লে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। খুচরা পর্যায়ে দামও কমবে।

পাঠকের মতামত: