কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে দুটি আইসোলেশন সেন্টার

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথকভাবে নির্মিত হচ্ছে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট দুটি আইসোলেশন সেন্টার। আপাতত করোনা রোগীদের এই দুই আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর অর্থায়নে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ও আইসিডিডিআর’বির অর্থায়নে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক দুটি আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।

আইওএম কর্তৃক আইসোলেশন সেন্টারটি তৈরি হচ্ছে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

অপরদিকে, আইসিডিডিআর’বির কর্তৃক আইসোলেশন সেন্টারটি তৈরি হচ্ছে উপজেলার আইসিডিডিআর’বির ডায়রিয়া হাসপাতাল কমপ্লেক্সে।
আইসোলেশন সেন্টার দুটির অবকাঠামোর কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যে আইওএম কর্তৃক নির্মাণাধীন আইসোলেশন সেন্টারের কাজ এই মাসের শেষের দিকে শেষ হবে।

আগামী মাসের শুরু থেকে পুরোদমে চিকিৎসা সেবা চলবে। অপরদিকে, আইসিডিডিআর’বির কর্তৃক আইসোলেশন সেন্টারের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই হাসপাতালের কাজ শেষ হতে পারে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, টেকনাফের স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পৃথকভাবে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট দুটি আইসোলেশন সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী উভয়কে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে পৃথক এই দুইটি হাসপাতালে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল জানান, টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে এখনও পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তবে উপজেলাতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে টেকনাফে পৃথক দুটি আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে আইওএম কতৃক নির্মিত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি ছাড়া শিবির সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। অপরদিকে, আইসিডিডিআর’বি কর্তৃক নির্মিত ২০০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন হাসপাতালে উপজেলার স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: