কক্সবাজার, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে যুবককে তুলে নিয়ে কুপিয়েছে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা

কক্সবাজারের টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী (নবগঠিত সাথী গ্রুপের) সদস্যরা পার্শ্ববর্তী এক যুবককে তুলে নির্জন এলাকায় নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। পরে ওই যুবককে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম লেদা শিয়াইল্যা ঘোনার জাগির হোছাইনের ছেলে রাসেল করিম পাশ্বর্বর্তী একটি দোকানে হালিম খেতে গেলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্কবির্তক হয়। এরই সূত্র ধরে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের এইচ ব্লকের সোলতান মুরুব্বীর ছেলে সরকার, মৃত আজিম উল্লাহর ছেলে হামিদ উল্লাহ, আমান উল্লাহ, শহর আলীর ছেলে ইলিয়াছ, মৃত সালামের ছেলে মোবারক, তজুল আহমদের ছেলে করিম উল্লাহ, সালামের ছেলে ছিদ্দিক আহমদ, আব্দুল জলিলের ছেলে ইউনুছ, আবুল বশরের ছেলে আবুল কাশিম ধলাইয়া, ইলিয়াছের ছেলে আব্দুল মালেক ও জনৈক নোমান, জাফরু, আলমসহ একটি গ্রুপ তাকে ধরে নিয়ে বেদম প্রহার ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে ১০/১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায়।

পরে রাসেল করিমের আত্মীয়স্বজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে লেদা আইএমও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মুমূর্ষু রাসেলকে টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এদিকে এলাকার একজন সাধারণ যুবকের উপর এই ধরনের হামলায় রাত পৌনে ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে হামলাকারীরা পাহাড় থেকে নেমে আরও ৭/৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এই ব্যাপারে নয়াপাড়া  শরণার্থী শিবিরের পুলিশের আইসি মনিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে তিনি অবহিত নন। তবে হামলার শিকার রাসেল করিমের মামা জাহেদ হোছেন এই ন্যাক্কারজনক হামলার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে আইনি সহায়তা কামনা করেন তিনি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছিল। বিডি প্রতিদিন

পাঠকের মতামত: