কক্সবাজারের টেকনাফে সড়ক দুর্ঘটনা হাসিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। আহত হন চালকসহ দুই যুবক। এ সময় নিহতের কোলে থাকা ৫ বছরের শিশু কন্যা অক্ষত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিনা আক্তার (৩৫) হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপড়া এলাকার আবুল কাসেমের স্ত্রী। আহতরা হলেন সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম ও যাত্রী নুরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি যাত্রীবাহী কক্সবাজারগামী অটোরিক্সা (সিএনজি) হ্নীলা হয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা টেকনাফগামী একটি পিকআপের ধাক্কায় ধুমড়ে মুচড়ে যায় অটোরিক্সাটি।
এ সময় ঘটনাস্থলে ওই গৃহবধূ প্রাণ হারান। তার সাথে থাকা ৫ বছরের শিশু কন্যা অক্ষত রয়েছে।
স্থানীয় ও হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এগিয়ে অন্যান্য আহত চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মা মেয়ে ও অপর এক যাত্রীসহ অটোরিক্সায় করে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে উলুবনিয়া রাস্তার মাথা সড়কের মোড়ে মালবাহী পিকআপের ধাক্কায় অটোরিক্সাটি ধুমড়ে মুছড়ে যায়।
এ সময় মা হাসিনা আক্তার মারা গেলেও অক্ষত রয়েছে ৫ বছরের শিশু কন্যাটি। নিথর মায়ের দেহ সড়কে পড়ে থাকলে মা মা করে কাঁদতে থাকে অবুঝ শিশুটি। ঘটনাস্থলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আমিন সিকদার জানান, উলুবনিয়া রাস্তার মাথা সড়ক ঘেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ হাট-বাজার রয়েছে । সড়কটি মোড় বা বাঁকটি ভয়াবহ হওয়ায় ছোট খাটো সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। সড়কে গতিরোধক স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক মনজুরুল অটোরিক্সাটি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত গৃহবধূকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে অক্ষত শিশু কন্যাকেও। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: