কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ থেকে আরও ৭ শতাধিক রোহিঙ্গাকে উখিয়ায় স্থানান্তর

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গত দুইদিনে আরও ১৬৩টি পরিবারের ৭০১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ দফায় ৭৪৩ পরিবারের ৩ হাজার ৩৯৯ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থীশিবিরে স্থানান্তর করা হলো।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ (জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব) পুলক কান্তি চক্রবর্তী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত দুইদিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৩টি বাস ও ২৬টি ট্রাকে (মালামাল পরিবহনের জন্য) করে রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে এ ক্যাম্পে বসবাসরত সব রোহিঙ্গাকে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ক্যাম্পে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছিল। এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এর আগে প্রথম দফায় গত ১৩ জানুয়ারি ১৫৬ পরিবারের ৭২৭ জন, দ্বিতীয় দফায় ১৪ জানুয়ারি ১৪১টি পরিবারের ৬৬৭ জন, তৃতীয় দফায় ৩ ফেব্রুয়ারি ১৫০টি পরিবারের ৬৬৬ জন, চতুর্থ দফায় ৪ ফেব্রুয়ারি ১৩৩টি পরিবারের ৬৩৮ জনকে স্থানান্তর করা হয়।

পঞ্চম দফায় রবিবার ৮৫টি পরিবারের ৩৬০ জনকে ও ষষ্ঠ দফায় সোমবার ৭৮ পরিবারের ৩৪১ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থীশিবিরে নেওয়া হয়েছে।
বাহারছড়া ইউপির চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন জানান, টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরটির অবস্থান মেরিন ড্রাইভ ও সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায়। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ শিবিরটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পটি খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়াসহ অন্য ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।

শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দলনেতা (মাঝি) আবুল কালাম জানান, এ শিবির থেকে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে। এখানে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল। রোহিঙ্গাদের শিবিরের মধ্যে রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ছয় দিনে সাড়ে তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে এখান থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: