কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

তালেবানের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি ফেসবুকের

দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের পুনর্দখল নিয়েছে তালেবান। আফগান জনগণের সমর্থন ও বৈশ্বিক সম্প্রীতির বন্ধনে জড়িয়ে দেশটি শাসন করতে চায় সংগঠনটি।
তালেবানের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি ফেসবুকের

তবে তালেবানকে ‘জঙ্গি’ সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের প্লাটফর্ম থেকে তালেবান সম্পৃক্ত সব ধরনের কনটেন্ট মুছে ফেলা শুরু করেছে। এরইমধ্যে তালেবান ও আফগানিস্তান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একটি দলকে এই কাজের জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এই খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে বার্তা ছড়িয়ে দিতে ফেসবুককে ব্যবহার করে আসছে সংগঠনটি। তবে তালেবান রিলেটেড কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার বিষয়ে নতুন করে বেশ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্লাটফর্মটি।

ফেসবুকের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, মার্কিন আইনি কাঠোমোতে তালেবান একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত। তাই আমাদের ‘ভয়ঙ্কর সংগঠন’ নীতির আলোকে তালেবানদের সব কার্যক্রম ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলছি এবং তারা যেন এটি ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। এর মানে হলো- তালেবান সদস্য কিংবা তাদের হয়ে খোলা যে কোনো অ্যাকাউন্ট আমরা সরিয়ে ফেলছি।

এজন্য আমরা আফগান বিষয়ক বোদ্ধা একটি দলকে নিয়োজিত করেছি। দারি ও পোস্তুদের সম্পর্ক তাদের বিশদ জানা-শোনা আছে, আফগানিস্তানের স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়েও তাদের দখলে রয়েছে। তারাই মূলত আকাউন্ট শনাক্ত ও সরিয়ে ফেলার এই কাজটি করবে।

এর মানে এটা নয় যে আমরা তাদের (তালেবান) সরকার গঠনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় বা বিপক্ষে দাঁড়ানোর পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছি।

এই নীতি শুধু ফেসবুক নয়, তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসআপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে তারা। তাদের কাছে খবর রয়েছে, যোগাযোগ রক্ষায় তালেবান বর্তমানে ব্যাপকহারে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে।

তালেবান সম্পৃক্ততা পেলে ওই অ্যাকাউন্টধারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফেসবুক।

ব্যবহারের দিক থেকে ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্লাটফর্মগুলোও তালেবান রিলেটেড কনটেন্ট কিভাবে বিবেচনা করবে সে বিষয়ে তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের আকাউন্টগুলোর দিকে তারা নজরদারি বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে।

আফগান মুখপাত্র আফগানিস্তান দখলের খবর ছড়িয়ে দিতে ব্যাপকভাবে টুইটার ব্যবহার করেছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে টুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের প্লাটফর্মের মাধ্যমে যেন হিংস্রতা ছড়িয়ে না পড়ে তা নজরদারিতে এ বিষয়ে টুইটারের নীতিগুলো আরও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। টুইটার কখনোই সন্ত্রাস ও হিংস্রতাকে সমর্থন করে না বলেও জানানো হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে ইউটিউব এখনও তাদের অবস্থানের কথা জানায়নি।

সূত্র: সময় টিভি

পাঠকের মতামত: