কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লির রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

আগুন লাগানো হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। তদন্তে পুলিশ।

প্রায় নয় বছর ধরে দিল্লির মদনপুর খাদার অঞ্চলে বসবাস করছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। শনিবার রাতে সেখানে আগুন লাগে। রোববার পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে। দমকলের ১১টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুনে ৫৩টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখার জন্য আলাদা কোনো জায়গা তৈরি করা হয়নি। জম্মু, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলে রোহিঙ্গারা এসে থাকতে শুরু করেছিলেন। যদিও রোহিঙ্গাদের রাখার বিষয়ে প্রথম থেকেই নেতিবাচক ভারত সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের কাগজ সঙ্গে থাকায় তাদের উচ্ছেদ করা না গেলেও, থাকার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি।

মদনপুর খাদারে রোহিঙ্গাদের শিবিরের অবস্থাও অস্বাস্থ্যকর। উপায় না থাকায় সেখানেই বসবাস করতে বাধ্য হন তারা। সম্প্রতি জম্মু থেকেও বেশ কিছু রোহিঙ্গা সেখানে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্যাম্প থেকেও রোহিঙ্গারা দিল্লির শিবিরে এসেছেন। তারই মধ্যে আগুন লাগে।

সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংগঠন পিইউডিার-এর কর্মকর্তা আশিস গুপ্ত ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”এর আগেও ওই শিবিরে আগুন লেগেছে। তখনো অভিযোগ উঠেছিল, রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ফের কীভাবে আগুন লাগলো, তা খতিয়ে দেখা দরকার। অনেকেই আগুন লাগানোর অভিযোগ করছেন।” বস্তুত, সংবাদমাধ্যমের কাছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেকেই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আর পি মীনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির বক্তব্য, পুলিশ প্রতিবারই তদন্তের আশ্বাস দেয় কিন্তু পরে আর কোনো তথ্য জানা যায় না।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক আবাসিক ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শনিবার সকালেও একদল লোক তাদের ওখানে গিয়েছিল। ওই রাতেই আগুন লাগে। বস্তুত, ক্যাম্পের জমিটি ফাঁকা করার চেষ্টা চলছে অনেক দিন ধরেই।

মানবাধিকার সংগঠনগুলির প্রশ্ন, ক্যাম্প তুলে দিলে শরণার্থীরা কোথায় যাবেন? তাদের কি ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে? জম্মুতে বেশ কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাচার করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

পাঠকের মতামত: