কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর। এর আগে গত ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৬৬১ জন।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩১৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৯টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জনের।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন।

নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪২০৭, ময়মনসিংহে ৩৫৮, চট্টগ্রামে ৬৭৩, রাজশাহীতে ৯৯২, রংপুরে ৫৫৬, খুলনায় ১৩০৪, বরিশালে ৩৪৩, সিলেটে ২২৮ জন রয়েছেন।

এছাড়া মৃত্যু ১৫৩ জনের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৫৭ জন নারী। এদেরমধ্যে খুলনার ৫১, ঢাকায় ৪৬, চট্টগ্রামে ১৫, রাজশাহীতে ১২, বরিশালে ৩, সিলেটে ২, রংপুরে ১৫ এবং ময়মনসিংহে ৯ জন মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৫ হাজার ৬৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৬৭৬ জন এবং নারী ৪ হাজার ৯৮৯ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১১ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ জন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৪৮ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত: