কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দেশে করোনায় ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ভিত্তিহীন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে কিছু গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে তাকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন দু’টি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে চলমান কয়েকটি ইস্যুতে বক্তব্য নেন। পরে মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য সব সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের কাছে উন্মুক্ত করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, এক সময় বিবিসি বন্যার পরিস্থিতিতে অনুমান নির্ভর খবর দিয়ে বলেছিল, ওই বন্যায় বাংলাদেশে ৩০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা আছে। পরে দেখা গেছে ওই বন্যায় মারা গিয়েছিলেন ১৩৯ জন। অতএব সব সময় বিদেশি নামকরা গণমাধ্যমও সঠিক খবর দেয় না। এবারও করোনায় বাংলাদেশে ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ মারা যাবে বলে যে খবর দেওয়া হচ্ছে তা অতিমাত্রায় অতিরঞ্জিত এবং ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, ইমরেপিয়াল কলেজ গত কয়েকদিনে অনেক ধরনের খবর তথ্য, পর্যালোচনা দিয়েছে। কিন্তু এই একটা অনুমান নির্ভর তথ্য নিয়েই কোন কোন মাধ্যম বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া সহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ফ্লাইট খুলে দেওয়ার জন্য খুব চেষ্টা করা হচ্ছে, বলা যায়, চাপও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে যেসব দেশ চাপ দিচ্ছে তারাই আবার নিজেরাই তাদের দেশের সঙ্গে সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। যেমন অস্ট্রেলিয়া। তারা নিজেরা সরাসরি সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখে বাংলাদেশকে ফ্লাইট চালুর কথা বলেছে।

তিনি উদাহরণ দিয়ে আরও বলেন, বর্তমানে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে যারা আছেন তারা ফ্লাইট বন্ধ রাখতে বলছেন, আর যারা লন্ডনে আছেন, তারা ফ্লাইট চালু করতে বলছেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয় বিবেচনায় রেখে পরিস্থিতি সাপেক্ষ বিদেশের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সম্মিলিত সরকারি সিদ্ধান্ত লাগবে।

মন্ত্রী আরও জানান, ভারত সরকার জানিয়েছে ১৪ এপ্রিলের আগে কোনভাবেই সেখানে অবস্থান করা বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। যারা চিকিৎসা সহ অন্যান্য কাজে গিয়ে ভারত থেকে ফিরতে পারছেন না, তাদের জন্য ভারত সরকার থাকা-খাওয়া ফ্রি করে দিয়েছে। ফলে তাদের অসুবিধা হচ্ছে না। এ মুহূর্তে ব্যাংকক কিংবা সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট পরিচালনাও সমম্ভব নয় বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পাঠকের মতামত: