কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

নতুনদের যারা মেনে নিতে পারে না: আলমগীর অপু

আলমগীর অপু, সি-প্লাস টিভি::

মাঝে মাঝে চিন্তা করি একটা সময় ছিল আমরা অনেক দূরে হেঁটে নানার বাড়ি খালার বাড়ি যেতাম। কিন্তু খালার বাড়িতে খালা আছে কিনা সেটা জানার কোনো মাধ্যম ছিল না। একটা অনুমান করে চলে যেতাম। ভাগ্য ভালো হলে খালা থাকতো অথবা এমন হতো অন্য কোথাও বেড়াতে গেছেন কিন্তু গত ২০ বছরে আমাদের কাছে এই দৃশ্যটি এখন কলিকালের গল্পের মত হয়ে গেছে।

বর্তমানে আমরা পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় আগে একটা ফোন করে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হই, তুমি থাকবে কি? কথাগুলো বলছি মোবাইল আমাদেরকে অনেক নিয়ন্ত্রণ করে, ইন্টারনেট আমাদেরকে অনেক নিয়ন্ত্রণ করে! তাহলে বর্তমান এই বিস্ময় কতদিন চলবে আগামীর বিশ্ব কেমন হবে? এই যে আমি লিখছি তা কিন্তু গুগোল লিখে দিচ্ছে, আমি বলে যাচ্ছি! গুগল মামা সব লিখে দিচ্ছে অনেক কষ্ট করে কলম দিয়ে লেখা বা হাতে লেখা সেই দিন শেষ! আমি বলছি গুগল মামা লিখছে আমার সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে আগামী দশ বছর পর এই পৃথিবীর চেহারা এই মানুষগুলোর চলাফেরা পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করবে গুগোল অ্যাপেল টেসলা সহ বড় বড় কোম্পানিগুলো! তারা করবে তাদের শক্তি দিয়ে। আমরা তাদের কাজের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য। কিছুই করার নেই থাকবেও না। আর তাই মাঝে মাঝে চিন্তা করি আমরা সৌভাগ্যবান প্রজন্ম! ‘ কারণ আমরা সেই এনালগ যুগটা দেখেছি!

বর্তমানটা দেখছি! এখন আগামী ৫ কিংবা ১০ বছর পর আরেকটা দুনিয়া দেখবো- যদি বেঁচে থাকি! তাহলে অত্যাধুনিক পৃথিবী আমিও দেখবো!? কেমন হবে পৃথিবী ?আমি এক এক করে যদি বলতে চাই তাহলে আমি নিশ্চিত অনেকে আমাকে পাগল বলবে! উন্নত বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে গেলেও আমার বাংলাদেশের সেই পরিবর্তন আনতে অন্তত আরো দশটা বছর পরে সেই পরিবর্তনের সাথে খাপ মিলাতে হবে! কারণ এখানে ধর্মান্ধতা এখানে কেউ কাউকে স্বীকৃতি না দেয়ার প্রবনতা, বর্তমান বাস্তবতাকে নিজের ইচ্ছায় মেনে না নেওয়া এসব আমাদের সহজাত বিষয় হয়ে গেছে।

আমার ১৪ বছর বয়সী ছেলের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। সে আমাকে আশাহত না হয়ে আশ্বস্ত হতে বললেন। তার কথা শুনে আমি অনেকটা সাহস পেয়েছি। তার যুক্তি একটা পৃথিবী থেকে একটা প্রজন্ম চলে যেতে হবে আগামী পাঁচ বছরে! বাস্তবতাও হচ্ছে,একটা বিশাল প্রজন্ম চলে যাবে যারা ব্যাকডেটেড আবার আরেকটি প্রজন্ম গড়ে উঠবে তারা আপনার ইতিহাস আপনি কি উল্টাই ফেলছেন, ত্যারাই ফেলছেন এসব নিয়ে কেউ চিন্তা করবেনা।

তারা এই পৃথিবীটা তাদের মত করে সাজাবে, সেখানে তেমন কোনো গরিব থাকবে না, গণ্ডি থাকবে না অবারিত পৃথিবীর! স্বাদ গ্রহণ করবে সবাই! কথাগুলো বলছি যারা নতুনের আগমনে ভয় পায় নিজের অস্তিত্বকে আশঙ্কায় ফেলে ভালো কিছু মেনে নিতে পারেনা তাদের জন্য!
শুভকামনা

পাঠকের মতামত: