কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর কচু শাক

কচু শাকসুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনি একটি উপকারি শাক হচ্ছে কচু শাক। এই শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর। কচু শাক নানাভাবে খাওয়া যায়।

এ শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম। এটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। এটির পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। এই শাকের সব চেয়ে বড় উপকারিতা হলো, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাস। যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সহায়ক। তাছাড়া ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এই আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। যা খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। তাছাড়া এ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে এর লৌহ উপাদান দেহে সহজে আত্তীকরণ হয়ে যায়। ভিটামিন সি-মানব শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচু শাক খাওয়ানো উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে।

এটি রাতকানা, ছানি পড়া, চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। রক্তের কোলেস্টরেল কমিয়ে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত এ শাক খেলে কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে। কচু শাকে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য অনেক উপকারি। এটি অল্প টাকায় পাওয়া যায় বলে দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী নারীরা ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচু বা কচু শাক খেতে পারেন। শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

পাঠকের মতামত: