কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নুরুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

ফেসবুক লাইভে ধর্ষণ মামলার বাদী সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এই মামলা তদন্ত করে আগামী ২৯ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন।

এর আগে আজ বুধবার সকালে নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মামলায় ওই ছাত্রী আদালতের কাছে অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে ১১ অক্টোবর তাঁকে দুশ্চরিত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন নুরুল হক, যা মিথ্যা, মানহানিকর ও অপমানজনক। মামলার আরজির তথ্য বলছে, এই ঘটনায় তিনি নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য শাহবাগ থানায় যান। সেখানে মামলা গ্রহণ না করায় তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এই মামলা করতে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত মাসে ছাত্র পরিষদের নেতা হাসান আল মামুনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা করেন। মামলায় নুরুল হককেও আসামি করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ার অভিযোগ আনেন। নুরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মীমাংসা করার নামে তাঁকে (ছাত্রী) নীলক্ষেতে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছেন। তিনি (নুরুল) বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাঁদের ভক্তদের দিয়ে তাঁর নামে ‘উল্টাপাল্টা’ পোস্ট করাবেন এবং ‘যৌনকর্মী’ বলে প্রচার করাবেন। তাঁদের গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। এতে তাঁর সম্মানহানি হবে।

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গত ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন ওই ছাত্রী। মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে নুরুলও আছেন। পরে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন ছাত্রী।

ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পরিষদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হুদা। সাইফুল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। আর নাজমুল সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি।

আগের দুই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন ওই ছাত্রী। তিনি বলছেন, সব আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর অনশন চলবে।

পাঠকের মতামত: