কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নেইমারের অঝোর কান্না হৃদয় ছুঁয়ে গেছে মাশরাফির

আর্জেন্টাইনদের জন্য কোপা আমেরিকার শিরোপাটা যতটা স্বস্তির-আনন্দের, শিরোপা হাতছাড়া করাটা ঠিক ততটাই কষ্টের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য। যে মাঠে বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল মেসির, সেই মারাকানা স্টেডিয়ামেই আজ লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় নিলেন আর্জেন্টাইন ফেনোমেনন।

এটি শুধু নিছক জয় নয়, এটি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যেটি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় খেলাটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন মেসি।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার ঘরে আজ আনন্দের হিল্লোল বইয়ে চলেছে। আর নিজ মাঠে ‘পরম শত্রুকে’ পেয়েও পরাস্ত করতে না পারার আক্ষেপ সহজে ভুলবেন না নেইমার।

সেই উপলব্ধি করেই কিনা ম্যাচ শেষে নেইমারের বাঁধভাঙা কান্না। জার্সি টেনে মাথা নিচ দিকে দিয়ে অঝোরে কান্না করছিলেন নেইমার।

ফাইনালে ১-০ গোলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে মেসিরা যেখানে আনন্দ-উল্লাস করেছেন, সেখানে চোখের জলে কেঁদে ভাসিয়েছেন নেইমার।

শুধু নেইমারই নন, বাকিদের চোখ বেয়েও নামে এই অশ্রুধারা।

নেইমারদের কান্না ছুঁয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণভ্রমরা মাশরাফি বিন মর্তুজার হৃদয়। রোববার এক ফেসবুক পোস্টে এমনটিই জানালেন সাবেক এই অধিনায়ক।

তবে এটি ভাবার কারণ নেই যে, মাশরাফি ব্রাজিল সমর্থক। তিনি ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনার সমর্থক।

আর্জেন্টিনার ট্রফি জয় মাশরাফিকে তৃপ্তি দিয়েছে কিন্তু নেইমারের কান্নায় তার খারাপ লেগেছে।

আজ যেমন মেসির আনন্দ দেখে অনেক ভালো লেগেছে, তেমন নেইমারের কান্না দেখে ওতটাই খারাপ লেগেছে। আসলে খেলাটাই এমন।’

পোস্টে মাশরাফি আরও লিখেছেন, ‘ফুটবলে আর্জেন্টিনার সমর্থন করি ডিয়েগোর জন্য, পরে ও (ম্যারাডোনা) যাওয়ার পর আরও অনেকেই এসেছে। শেষ মেষ মেসি। কথা হলো কারও না কারও খেলা দেখে মানুষ একটা দলকে সাপোর্ট করা শুরু করে আর একটা পর্যায়ে ওই খেলোয়াড় থেকে দলের প্রাধান্যই বেশি হয়।’

তার পরেও আর্জেন্টিনার এমন জয়ে মাশরাফির অনুভূতিটাই অন্যরকম, ‘দারুণ এক অনুভুতি হচ্ছে আর্জেন্টিনা জেতায়। সবাই মেসি মেসি করলেও আমার মন পড়ে আছে ওই স্পেশাল ম্যান এর দিকে। বেঁচে থাকলে ওর (ম্যারাডোনা) মতো আনন্দ কেউ পেতো না। উপর থেকে দেখে হয়তো এমনই করছে(কাল্পনিক)। ডিয়েগো ম্যারাডোনা দি ওনলি লাভ ইন ফুটবল। অভিনন্দন আর্জেন্টিন।’

পাঠকের মতামত: