কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে পাচারকারীর ফেলে যাওয়া বস্তায় মিলল ৫০ হাজার ইয়াবা

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা দমদমিয়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১জুন) রাত ১১টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে বলে সংবাদ আসে। তারই ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির বিশেষ টহলদল ঐ এলাকায় আগে থেকে কয়েকটি দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে হাবিবুল্লাহ জোড়া নামক এলাকায় পানের বরজে আঁড় নিয়ে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পরে বিশেষ টহলদল হাবিবুল্লাহ জোড়া হতে ৬০ গজ পশ্চিমে নৌকাযোগে মিয়ানমার নাফনদী পার হয়ে নদীর কিনায় কেওড়া বাগানের নিকট দিয়ে ৩/৪ জন ব্যক্তিকে ১টি বস্তা নিয়ে আসতে দেখে।

উক্ত ব্যক্তিদেরকে দেখা মাত্রই টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত অগ্রসর হয়।
দুষ্কৃতিকারীরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই বহণকৃত বস্তাটি ফেলে দিয়ে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া
১টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভেতর থেকে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

ইয়াবা পাচারকারী ও সহযোগীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে সকাল পর্যন্ত কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তি পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

পাঠকের মতামত: