কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পিছিয়েছে প্রদীপের দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি

বরখাস্ত হওয়া কক্সবাজার মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলায় পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক। সোমবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ আদেশ দেন।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদালতে সময়ের আবেদন করেছিল। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন। ওইদিন আসামির জামিন আবেদনেরও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় গত ২৭ জুলাই চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এক মাস পর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী চুমকি করণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর থেকে চুমকি পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। তার চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বিপরীতে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার পক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে এই মামলায় সাক্ষী করা হয়।

এর আগে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করণের বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

পাঠকের মতামত: