কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রদীপসহ ৩ আসামির মুখে সিনহা হত্যার বর্ণনা

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ নিহত হওয়ার ঘটনাটি গভীরভাবে অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে। এক-দেড় মিনিটের ঘটনা প্রবাহ বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। এতে প্রতিটি সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত ইতিমধ্যে সংগৃহীত হয়েছে।

এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কী এমন ঘটেছিল, কেন গুলি করা হলো—সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে র‌্যাব। এ কারণেই ওসি প্রদীপসহ ঘটনার তিন মূল আসামিকে নিয়ে পৃথকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র‌্যাবের তদন্তদল।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্র পরিদর্শন করে তারা। এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশি চৌকির সামনে দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিজেদের মতো করে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, কেন এই ফায়ারিংটা সংঘটিত হয়েছিল? সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে কী এমন ঘটেছিল যে সিনহা গুলিবিদ্ধ হয়েছিল?

কিংবা লিয়াকত যেটা বলছে, সিনহা পিস্তল তাক করে ফেলেছিল। এই ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কী এমন হয়েছিল যে পিস্তল তাক করার মত পরিস্থিতি কি আসলে হয়েছিল কিনা? আর সে-ইবা কেন ফায়ার করল?” এ ব্যাপারে অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়েছে।

সবকিছু অ্যানালাইসিস করে র‌্যাব একটা সন্তোষজনক তদন্ত সম্পন্ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা কথা আছে জাস্টিস হারিড, জাস্টিড বারিড; জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড। তো হারিড যেন না হয় এবং ডিলেইড যেন না হয়। কোনোটাই যেন হয় সেই দুই দিক বিবেচনায় রেখে আমরা কাজ করছি।

এসময় র‌্যাবের আইন ও মিডিয়া উইং প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এবং সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, আমরা এমনভাবে তদন্ত করতে চাই, যেন কোনোভাবেই কোনও নির্দোষ ব্যক্তি সাজা না পান এবং কোনও দোষী ব্যক্তি কোনোভাবেই ছাড় না পায়।’

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় তার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অন্য দুই পুলিশ সদস্য পলাতক রয়েছেন।

পাঠকের মতামত: