কক্সবাজার, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমের টানে সীমান্ত পার, ভারতীয় কিশোরীসহ আটক ৩

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। এরপরে প্রেম। সেই প্রেমকে প্রণয়ে রূপ দিতে বাংলাদেশে আসে ভারতের হুগলির বাসিন্দা প্রীতি পন্ডিত (১৭) নামে এক কিশোরী। পরে ওই কিশোরী ও তার প্রেমিকসহ তিনজন পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।

রবিবার দুপুরে সদর কোতয়ালি থানা থেকে ওই কিশোরীসহ ৩ জনকে সদর কোতয়ালি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন ভারতীয় কিশোরীকে সেভ হোমে এবং প্রেমিকসহ দুইজনকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের কোর্ট
ইন্সপেক্টর।

এর আগে, শনিবার দুপুরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানী পুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া এলাকার লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

রংপুর সদর কোতোলি থানা সূত্রে জানা গেছে, দুবছর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মন্টু পন্ডিতের মেয়ে প্রীতি পন্ডিতের সঙ্গে রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেমের টানে গত ২৪ জুন ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রীতি। গত কয়েকদিন ধরে প্রীতি সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়েনের পালিচড়া ফাজিল খা গ্রামে মিলনের বাড়িতে অবস্থান করছিল।

পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে মিলন ও তার এক সহযোগী একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমানকে আটক করে। এসময় প্রীতিকেও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়।

রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মনতাজুর রহমান জানান, বিনা পাসপোর্ট ও অনুমতি ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সদর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া মানবপাচার আইনের ৬, ৭, ৮ ও ১০ ধারার আলোকে মামলা করা হয়। মামলার বাদী এসআই জাহাঙ্গীর আলম ভারতীয় কিশোরীকে সেভ হোমে রাখার জন্য আমলি আদালতের বিচারকের কাছে আবেদন করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মোস্তফিজার রহমান ভারতীয় কিশোরী প্রীতি মন্ডলকে পুলিশের সেভ হোমে ও অন্য দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পাঠকের মতামত: