কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফাহিম-নিক্সনকে নিয়ে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

১৩ পদ খালি রেখে কংগ্রেসের প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কমিটিতে রয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির ভাতিজা ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং আলোচিত ফরিদপুরের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এ ছাড়া ব্যারিস্টার সাইয়্যেদুল হক সুমনের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখও আছেন এবারের কমিটিতে।

দীর্ঘ সাত বছর পর ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে আসেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। সাধারণ সম্পাদক করা হয় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচটি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই ২২ জনের মধ্যে রয়েছেন— অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ শওকত আলী, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, স্বতন্ত্র আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, তাজউদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংসদ জুয়েল আরেং, আনোয়ার হোসেন ও এন. শওকত হোসেন তসলিমসহ অন্যরা।

কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন— বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মো. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার।

সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নয়জন। তাঁরা হলেন— কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির।

প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি জয়দেব নন্দী। দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পেয়েছেন জহিরুল ইসলাম মিল্টন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আলিফ খান রাজিব, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরওয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক শামসুল হক অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার।

এ ছাড়া ২১ জনকে ২১টি বিষয়ে উপসম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। ৪১ জনকে দেওয়া হয়েছে সহসম্পাদকের পদ। ৭৫ জন রয়েছেন নির্বাহী সদস্য হিসেবে।

পাঠকের মতামত: