কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে বাঁশখালী থানায় করা মামলা দুটিতে অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার সকালে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল (শনিবার) রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ বাদী হয়ে আড়াই হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে শিল্প গ্রুপ এস আলমের মালিকানায় নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

গণ্ডামারার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আবারও হয়রানি ও হামলার ভয়ে গতকাল সন্ধ্যায় শ্রমিকদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে।

শনিবার সকালে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন।

শ্রমিকরা জানিয়েছিল, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও রমজান মাসে কর্মঘণ্টা কমানোসহ বেশকিছু দাবি নিয়ে তারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের’ মালিকপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ গুলি চালায়। এতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। আহতদের প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ।

স্থানীয়রা জানায়, ইফতার, নামাজ সূচি নির্ধারণ, বেতন ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় শ্রমিকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়।

পাঠকের মতামত: