কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাইশারীতে হুমকির মুখে পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ী, আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ!

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি::

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে হুমকির মুখে পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন একজন খামারীর ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার টাকা।

কথাগুলু বললেন দীর্ঘ পাচ বছরের পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী আর, টি, বহুমুখী ফার্মের মালিক ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক তালুকদার এর পুত্র মোঃ রাসেল।
তিনি বলেন গত ২৬ শে মার্চ থেকে চলমান করোনাভাইরাস এর কারনে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় খাদ্য, ঔষধ সহ সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে । রপ্তানি ও বন্ধ রয়েছে। দৈনিক খাবারে প্রতিটি মুরগীর জন্য অনেক টাকার খাবার প্রয়োজন। বেচা বিক্রি ও নাই, যার ফলে এখন চরম দুর্দশায় পরিনত।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আর টি পোল্ট্রি ফার্মে বর্তমানে লিয়ার ও বয়লার মিলে ৩০ লাখ টাকার মুরগীর মওজুদ রয়েছে। প্রতিদিন ডিম উৎপাদন হচ্ছে ২৭০০ মুরগীর। প্রতিটি ডিমের পিছনে যাহা খরছ পড়ছে বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা কম। তাও স্থানীয় ভাবে কিছু ডিম বিক্রি হলে ও বাকী ডিম খামারে মওজুদ থেকে যায়।

বয়লার মুরগী ও দিন দিন বড় হয়ে যাচ্ছে রপ্তানি করতে না পেরে এখন বিপাকে ।
আর টি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক রাসেল জানান সম্পুর্ন নিজস্ব পদ্বতিতে ফার্ম করেছি। সরকারী ভাবে কোন ধরনের সহযোগিতা এপর্যন্ত তিনি পাই নাই। উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগে কয়েক দফা গিয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ না পেয়ে হতাশা গ্রস্থ হয়েছে বলে ও জানান।
তাছাড়া সরকারী কোন ব্যাংক থেকে লোন ও পাননি। তবে তিনি সরকার অনুমোদিত একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব আদায় করে যাচ্ছে ।

সরজমিনে আরো দেখা যায় বাইশারী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক মুরগীর ফার্ম রয়েছে। সব গুলু ফার্মের একই দশায় পরিনত হয়েছে বলে জানালেন খামারীরা। তাদের চুখে মুখে এখন হতাশার চাপ লক্ষ করা যায়।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা জানান এই দুর্যোগময় মুহুর্তে সরকারী ভাবে সহযোগিতা পেলে কোন রকম ক্ষতির পরিমান কাটিয়ে উঠবে বলে জানান তারা।
বাইশারীর পোল্ট্রি খামারীরা ক্ষতির পরিমান কাটিয়ে আসতে সরকারের প্রনোদনা সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: